DA hike: পুজোর আগেই পকেট গরম! মোদির উপহারে মুচকি হাসি কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের

DA increased by 4 percent for government employees: ডি এ নিয়ে কোন্দোলের আর শেষ নেই। রাজ্য সরকারের কর্মীদের এক অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে। চলছে আন্দোলন, হরতাল, কর্মবিরতি। অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাদের প্রাপ্য ডিএ প্রদান করছে না। পুজো সামনে, এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের কর্মীদের হতাশার বহর বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার করল বড় ঘোষণা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিএ বাড়ানোর (DA hike) বিষয়ে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন মোদি সরকার।

পুজোর ঠিক আগে এমন সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া বয়ে গেছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর সরকারি কর্মচারীদের মুদ্রাস্ফীতির সাথে লড়াই করার জন্যই ডিএ বৃদ্ধি করে থাকে। সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা সাধারণত বছরে দুবার অর্থাৎ জানুয়ারি এবং জুলাই মাসে বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এবার তা অক্টোবরে ঘোষনা করা হচ্ছে। অক্টোবরের বেতনের সাথেই যুক্ত হচ্ছে মহার্ঘ ভাতার নতুন হার। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে (DA hike)।

পুজোর সময়ে এই ধরনের ঘোষণায় রীতিমতো খুশি কেন্দ্রীয় কর্মীরা। এতদিন পর্যন্ত পেনশনভোগী এবং কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন যা একলাফে বেড়ে গেল ৪৬ শতাংশ (DA hike)। নতুন এই ভাতা ২০২৩ সালের পয়লা জুলাই থেকে কার্যকর হবে। অর্থাৎ অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংযুক্ত করা হবে। অতএব দীপাবলির আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পকেট ভরবে।

বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সাথে তাল মেলানোর জন্য মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির (DA hike) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস দিয়েছে মোদি সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত। মূল বেতনের সঙ্গে তাদের এই মহার্ঘভাতা যুক্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে যারা সরকারি কর্মচারী তারা বাদেও পেনশনভোগীরা এই সুবিধা লাভ করবে।

পুজো তথা দীপাবলীর আগে এই ধরনের খুশির খবর সত্যি বাড়তি পাওনা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৪৭ লাখ সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লাখ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। সেই সাথে রাজ্য সরকারের কর্মীদের দীর্ঘশ্বাস আরও বড় হলো। কেন্দ্র সরকার তো ডিএ বাড়ালো এখন দেখার রাজ্য সরকার সেই রাস্তায় কবে হাঁটে?