করোনায় হারিয়েছেন নাচ, দুর্ঘটনায় ভেঙ্গেছে পাঁজর, অসহায় দিন কাটছে ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের ভিকির

নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবন যে কখন কাকে কোন অবস্থায় নিয়ে এসে দাঁড় করায় তা আগের মুহূর্ত অবধি নিশ্চিত করে বলা যায় না। এরকমই অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের অন্যতম প্রতিযোগী ভিকি দাস।

করোনার কারণে নাচকে বিদায় জানিয়ে তিনি ডেলিভারি এক্সিকিউটিভের কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আজ তার দুটি পেশায় অনিশ্চিত!

২০১৪ সালে ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের তৃতীয় স্থান অধিকারী হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার ভিকি দাস। তারপর কলকাতা ও মুম্বইতে বিভিন্ন নাচের ওয়ার্কশপ ও শো করেই চলছিল তার সংসার। নাচই ছিলো তার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু করোনা আবহে লকডাউনের জন্য অনেকেরই পেশা চলে গিয়েছে। পছন্দের পেশা ছেড়ে অনেকেই সংসার চালানোর জন্য ভিন্ন পেশায় ঢুকেছেন।

ভিকি দাসও তার ব্যতিক্রম নন। লকডাউনে শো বন্ধ থাকায় সংসার চালানোর জন্য নাচ ছেড়ে তিনি Zomato-র ডেলিভারি বয়ের কাজ শুরু করেন। এভাবেই চলছিল তার জীবন কিন্তু হঠাৎ বাইকের ধাক্কায় অনিশ্চিত হয়ে গেল তার দুই পেশায়!

বাড়িতে খাবার ডেলিভারি করতে গিয়েই এক্সিডেন্ট হয় তার। আর এই দুর্ঘটনার ফলে তার ডানদিকের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে যায়। এখন তিনমাস নাচ ও বাইক চালানো বন্ধ তার, কিন্তু তিনমাস পর‌ও আগের মত নাচ করতে পারবেন কিনা তা জানা নেই, আবার কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন তাও অনিশ্চিত। সংসারের মধ্যে অন্যতম উপার্জনকারী ভিকি আজ বিছানায় শুয়ে, বাড়িতে স্ত্রী রয়েছে তার।

এরকম অবস্থায় কী ভাবে চলবে তার সংসার এই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে তার! করোনার আবহে লকডাউনের মধ্যে ভিকির মত এরকম অনেককেই জীবনযাপনের জন্য লড়াই করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে, স্বপ্নের কাজ ছেড়ে বেছে নিতে হচ্ছে অন্য উপায়‌। কিন্তু সেই অন্য উপায়ের খোঁজে পথে বেরোনো মানুষগুলো যখন ভাগ্যের মার খায়, তখন ভিকির মত‌ই আক্ষেপ করে ওঠেন।

ভিকির কথায়, “কবে আবার কাজ শুরু করতে পারবো জানি না। বাবার উপর থেকে সংসারের চাপ কমাতে খাবার ডেলিভারি শুরু করলাম কিন্তু দুর্ঘটনা সেটাও কাড়লো!”