নিজস্ব প্রতিবেদন : দেবী দুর্গারই আরেক রূপ দেবী কালিকা। নবদুর্গার প্রথম রূপ এটি। এই রূপে দেবী অপরাজেয় অসুর রক্তবীজের নিধন করেছিলেন।
অসুর রক্তবীজ ছিলো ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত। বহু বছর তপস্যা করে সে ব্রহ্মার থেকে বর পেয়েছিল যে তার শরীরের থেকে এক বিন্দু রক্ত মাটিতে পরলে তা থেকে নতুন রক্ত বীজের সৃষ্টি হবে। এই রক্ত বীজের সাথে সকল দেবতারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেও তাকে পরাস্ত করতে পারেনি। দেবী দুর্গা যুদ্ধে অসুর নিধন করতে নেমে রক্তবীজের সম্মুখীন হন। দেবী রক্তবীজকে আঘাত করলে রক্ত বীজের শরীরের রক্ত থেকে সৃষ্টি হয় নতুন রক্তবীজ। এই ভাবে রক্তবীজের বংশবৃদ্ধি হতে থাকে।
দেবী দুর্গা এই কাণ্ড দেখে মহা ক্রোধান্বিত হয়ে নিজের বুকের মাঝখান থেকে দেবী কালিকাকে সৃষ্টি করেন। এই দেবী কালিকা আবির্ভূতা হওয়ার পরই রক্তবীজকে নিধন করেন। তিনি একদিকে রক্তবীজের মুন্ডচ্ছেদন করেন অন্যদিকে একই সময়ে রক্তবীজের শরীর থেকে নির্গত সকল রক্ত শুষে নেন। এই ভাবে রক্ত বীজ সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।
রক্ত বীজের মত সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করেন দেবী এই রূপে। জগতের সমগ্র অন্ধকারকে নিজের মধ্যে ধারণ করে তিনি সৃষ্টিকে আলো প্রদান করেন তাই তিনি কৃষ্ণবর্ণা। অমাবস্যা তিথিতে দেবীর আরাধনা করা হয়।
এই বছর কালী পুজোর নির্ঘন্ট
এই বছর কালীপুজোর তিথি অর্থাৎ অমাবস্যা তিথি লাগছে ২৮ কার্তিক ১৪ নভেম্বর শনিবার দিবা ১ টা ৪০ এর পর। আর এর পরের দিন অর্থাৎ ২৯ কার্তিক ১৫ নভেম্বর রবিবার দিবা ১১ টা ১৯ এর পর অমাবস্যা তিথি ছেড়ে যাচ্ছে। তারপর শুরু হচ্ছে প্রতিপদ। তাই ১৪ ই নভেম্বর দিবা ১ টা ৪০ থেকে ১৫ নভেম্বর দিবা ১১ টা ১৯ র মধ্যের তিথিতেই দেবী কালিকার আরাধনা করতে হবে।