নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) অর্থাৎ আগেরবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেস্তে যায় সবকিছু। তবে সেই সকল ব্যর্থতা পিছনে ফেলে আবার নতুন করে সফলতা অর্জনের আশায় রয়েছে ইসরো (ISRO)। সেই আশাতেই নতুন করে চন্দ্রাভিযান হতে চলেছে। এই চন্দ্রাভিযান হল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। বেশ কয়েক মাস ধরেই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে দেশবাসীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চরম উৎসাহ। আর এবার এর উৎক্ষেপণের দিন জানিয়ে দিল ইসরো।
ইসরোর নতুন মিশন চন্দ্রযান-৩ এর দিকে কেবলমাত্র ভারতীয়রা তাকিয়ে রয়েছেন এমন নয়। এই মিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কেননা এর আগে চন্দ্রযান-২ মিশন ব্যর্থ হলেও সেখান থেকে যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেই সকল তথ্য অনেক গবেষণার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে বলে দাবি করেছে ইসরো। ইসরোর এই নতুন মিশনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল শেপ যুক্তি।
এই মিশন সফল হলে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর ছবি এবং অন্যান্য মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করবে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। এমনকি এটাও জানা যাচ্ছে, এই মিশন সফল হওয়ার পর গোটা বিশ্ব ভারতীয় বিজ্ঞানীদের থেকে উপকৃত হবে। চন্দ্রযান-৩ অর্থাৎ নতুন অভিযানের জন্য ৬১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ঐদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের সবচেয়ে ভারী লঞ্চ ভেহিকেল থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশন ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে ইসরো এবং চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের মিশন চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপন করার পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ২২ জুলাই যখন চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে ঠিক সেই সময়ই ল্যান্ডার বিক্রম আছড়ে পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। এরপরেই ভারতীয়দের সব স্বপ্ন বিফলে যায়। যদিও ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়, মিশন বিফলে গেলেও যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক কাজে এসেছে।