Decrease Pulse Price: বর্তমান বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আগুন, নিত্যদিনের খরচ জোগাড় করতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্ত মানুষের। দামি মাছ-মাংস তো দূরে থাক, সাধারণ ভাত-ডালটুকুও জোগাড় করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে গরিব এবং মধ্যবিত্তদের পক্ষে। সবজির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানারকমের ডালের দাম। তাহলে কি সাধারণ মানুষের পাত থেকে এবার বাদ পড়ে যাবে ডালটুকুও? পুষ্টি আসবে কিভাবে? কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কল্যাণমূলক প্রকল্পের দ্বারা মিটতে পারে এই সমস্যা। বাজারে মিলবে ভারত ডাল। দামে কম, মানে ভাল এই ডাল দূর করবে সাধারণ মানুষের সমস্যা।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গত বুধবার ক্রেতা বিষয়ক দফতর তরফে কেন্দ্রের ভর্তুকিযুক্ত ডাল (Decrease Pulse Price) বিক্রির প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের নামে ভর্তুকিযুক্ত দামে ছোলা, মুগ ও মুসুর ডাল বিক্রি করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরো পড়ুন: রুই কাতলার থেকেও এখন কম দামে ইলিশ? এবার মাত্র ২০০ টাকা কেজি দরে ঘরে আনুন মাছের রানীকে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই ব্যাপারে বলেছেন যে, দ্বিতীয় ধাপে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি যাতে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই জন্যই ডাল বিক্রি করা হচ্ছে বাফার স্টক থেকে। তিনি জানান, সরকার মোট ৩ লক্ষ টন চানা বা ছোলার ডাল ও ৬৮ হাজার টন মুগ ডাল (Decrease Pulse Price) রিলিজ করেছে বাফার স্টক থেকে।
আরো পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত, বলছে এস অ্যান্ড পি
ভারত ব্র্যান্ডের অধীনে সাধারণ জনগণ কেমন দামে পাবে এই বিভিন্ন প্রকার ডাল? গোটা ছোলার ডাল ৫৮ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে এবং পাশাপাশি ভাঙা ছোলার ডালের দাম হল কেজি প্রতি ৭০ টাকা। বর্তমান বাজারের সবথেকে দামি ডাল হলো মুসুর ডাল। কিন্তু এখানে এই ডাল ৮৯ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে(Decrease Pulse Price)। বিভিন্ন সরকারি কো-অপারেটিভ কেন্দ্রগুলিতে ভারত ব্র্যান্ডের ডাল পাওয়া যাবে। এই ব্র্যান্ডের ডালের দাম বাজারে বা অনলাইনে বিক্রি হওয়া ডালের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ মূলত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এই কারণেই বিক্রি করা হচ্ছে ভারত ব্র্যান্ডের ডাল। গোটা দেশ জুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম এবং এই সময় যাতে কোনোভাবেই ডালের যোগানের অভাব না দেখা দেয় তাইজন্য এই পদক্ষেপ। ডালের উৎপাদন বাড়াতে গত খরিফ মরশুমেই কৃষকদের ভাল গুণমানের ডালের বীজ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি একেবারে কম মূল্যে অরহর, উরদ ও মুগ ডাল কেনা হচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। ১১৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আগস্ট মাস থেকে এবং এর থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৮ শতাংশ। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়াটাই স্বাভাবিক।