নিজস্ব প্রতিবেদন : এখন থেকে ৬ বছর আগে নোট বাতিলের কথা আশা করি প্রত্যেকের মনে আছে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার সময় পুরাতন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করেন। দেখতে দেখতে এই নোট বাতিলের ঘটনা ৬ বছর পার করলো। এই ৬ বছর পর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নোট বাতিলের আসল কারণ জানানো হলো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিল নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে রাজি হয় আদালত এবং ১২ অক্টোবর হয় প্রথম শুনানি। আদালতে তরফ থেকে ৯ নভেম্বর এই সংক্রান্ত বিষয়ে কারণ এবং লাভ নিয়ে হলফনামা মারফত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রকে।
যদিও ৯ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে হলফনামা জমা দিতে না পারায় আদালত ক্ষুব্ধ হয় এবং নতুন দিনক্ষণ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী অবশেষে আদালতে হলফনামা জমা পড়ে এবং সেই হলফনামাতে জানানো হয় কেন হঠাৎ করে নোট বাতিল করা হয়েছিল এবং এই সিদ্ধান্ত কাদের ছিল।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামাতে জানানো হয়েছে, নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একার ছিল না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সব বিস্তারে আলোচনা করার পরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নোট বাতিল করা অনেক চিন্তাভাবনার ফসল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি নোট বাতিল করার ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারণ এবং ফলাফল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, জাল নোট, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, কালো টাকা এবং কর ফাঁকি রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত। এর ফলে কালো টাকা, কর ফাঁকি এবং টেরর ফান্ডিং অর্থাৎ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। এটা সরকারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। তবে শুধু নোট বাতিলই যে এগুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, তেমন নয়।