Deposit money in Kisan Vikas Patra scheme of post office and get great returns: যারা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন তাদের পক্ষে কিসান বিকাশ পত্র স্কিম(Kisan Vikas Patra)হল ভারতীয় পোস্ট অফিসের একটি দারুণ প্রকল্প। আপনি যদি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন তাহলে এটি একটি সম্পূর্ণ ঝুঁকি মুক্ত বিনিয়োগের বিকল্প। ভারতের জনগণ পোস্ট অফিসের এই বিকল্প পথটি সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। কিসান বিকাশ পত্রের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ১২০ মাসের মধ্যে অর্থ দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। আপনি কি ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন? তাহলে এর থেকে ভালো বিকল্প পথ আর হতে পারে না।
পোস্ট অফিসের কিসান বিকাশ পত্র স্কিমটিতে আপনি পেয়ে যাবেন ৭.৫০ শতাংশ সুদের হার। আগের ৭.০০ শতাংশ থেকে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই স্কিমে(Kisan Vikas Patra)বিনিয়োগকারীদের অর্থ কিন্তু ১০ বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে যাবে৷ কিসান বিকাশ পত্র প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও একটি দুর্দান্ত খবর হলো কিসান বিকাশ পত্র প্রকল্পে কোনও সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা নেই এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিনিয়োগযোগ্য৷
কিষান বিকাশ পত্র স্কিমটি কিন্তু একক এবং যৌথ উভয় অ্যাকাউন্টের জন্য প্রযোজ্য। বিনিয়োগকারীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন যেমন মেয়াদপূর্তির আগে অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যুর হলে সেই অর্থ দাবি করতে পারবেন অন্য একজন মনোনীত ব্যক্তি। একটি কিসান বিকাশ পত্র(Kisan Vikas Patra) অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ। কিসান বিকাশ পত্রতে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে অবশ্যই বিনিয়োগকারীকে দশ বছরের বেশি বয়সী হতে হবে। তবে যদি ১৮ বছরের কম বয়স হলে তা পরিচালনা করার জন্য একজন অভিভাবকের সঙ্গে এই কিসান বিকাশ পত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
আরও পড়ুন ? মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই ব্যাপক লাভ! ফ্রাঞ্চাইজি দিচ্ছে পোস্ট অফিস
আপনি যদি এই স্কিমে(Kisan Vikas Patra) বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে কিসান নিকটস্থ পোস্ট অফিসে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফর্মটি পূরণ করুন এবং আবেদনের অর্থ পেয়ে জমা দিতে হবে। যদি আপনি কিসান বিকাশ পত্র অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাহলে বিনিয়োগকারীরা কিষাণ বিকাশ পত্রের একটি শংসাপত্র পাবেন। এই শংসাপত্র পোস্ট অফিসে প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। প্রথম দিকে এটি সফল হলেও পরবর্তীকালে শ্যামলা গোপীনাথের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি ভারত সরকারকে কিসান বিকাশ পত্র স্কিমটি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল।
শ্যামলা গোপীনাথ কমিটির তত্ত্বাবধানে ভারত সরকার এই স্কিমটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ২০১১ সালে কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার যখন নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সময় ২০১৪ সালে ফের এই স্কিম চালু করা হয়।