নিজস্ব প্রতিবেদন : রাতে ঘুমানোর সময় দেখেছিলেন একরকম আর সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখছেন অন্যরকম। হ্যাঁ, সোমবার অন্ততপক্ষে আবহাওয়ায় এমনই ব্যাপক মুড সুইং লক্ষ্য করা গেল। সোমবার সকাল বেলা থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া, উধাও হয়ে গিয়েছে প্যাচপ্যাচে গরম। আর এরই মধ্যে হাওয়া অফিসের (IMD) তরফ থেকে জানানো হলো, দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে, সেই আপডেট অনুযায়ী তাপপ্রবাহ, প্যাচপ্যাচে গরম সবকিছু থেকেই আপাতত মুক্তির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মূলত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন তৈরি হওয়ার কারণে আবহাওয়া এমন মুড সুইং এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের (Rainfall South Bengal) ৬ জেলা কাঁপাবে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি বলেই জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার ফলেও আবহাওয়ার ব্যাপক বদল এসেছে। ২২ মে বুধবার বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এবং সেই নিম্নচাপ উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ, আর সেই গভীর নিম্নচাপ আবার শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর এই রকম পরিস্থিতির কারণেই আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Cyclone Remal Name Meaning: কারা রাখল ঘূর্ণিঝড় রেমালের নাম, এই নামের অর্থ কি
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় কালবৈশাখী সহ ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। সোমবার সকাল থেকেই আবহাওয়া এমন বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে ওই ৬ জেলায়। যে ৬ জেলার কথা হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সেগুলি হল বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
তবে শুধু সোমবার নয়, আপাতত ২৩ মে পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে আপডেট দেওয়া হয়েছে। আর এই ২৩ তারিখ পর্যন্তই গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এরপর আবার ২৪ মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে আর গরমের মুখোমুখি হতে হবে না দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের বলেই আশা করা হচ্ছে।