Anti-India Sentiment: সম্প্রতি বেড়েই চলেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির সমালোচনা করছে গোটা বিশ্ব। এই অশান্তকর পরিবেশের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরে অশান্তি ছড়িয়েছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের সীমা। কিন্তু ভারত থেকে বহু জিনিস রপ্তানি করা হতো বাংলাদেশে। আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে সবিস্তারে জানা যাবে।
বর্তমানে ভারত সরকার উদ্যোগী হয়েছে যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর (Anti-India Sentiment) অবস্থায় রয়েছে। হিন্দুবিদ্বেষ নিয়ে এই অশান্তকর পরিবেশের প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ হলো ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাই সেইদিক থেকে বিচার করলে বাণিজ্যিক সম্পর্কেও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। জানলে অবাক হয়ে যাবেন বাংলাদেশ ভারতের ওপর ঠিক কতটা নির্ভরশীল।
ভারত থেকে ঠিক কোন কোন জিনিস বাংলাদেশে যায় জানেন কি? প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হল বস্ত্র অর্থাৎ পোশাক। ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রফতানি হয় বস্ত্র ও পোশাক। ভারতের টেক্সটাইল শিল্প যথেষ্ট জনপ্রিয় তার উচ্চমানের কাপড় এবং পোশাকের বিশাল পরিসরের জন্য। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সমৃদ্ধির জন্য ভারতের সহায়তা একান্ত প্রয়োজনীয়। ভারতীয় টেক্সটাইল বাংলাদেশের বৃহৎ পোশাক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করে।
ফার্মাসিউটিক্যালস হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উপর নির্ভর করে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে যে পরিমাণ ওষুধ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয় তা কল্পনার বাইরে। ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় জেনেরিক ওষুধ এবং বিশেষ ওষুধের একটি পরিসর সরবরাহ করে। পাশাপাশি ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:India-Bangladesh Update: ভারতের চাল দেশে ঢোকাতে রাজি নয় বাংলাদেশ, কোন দেশের উপর করছে ভরসা
ভারত থেকে বাংলাদেশের রফতানি হওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য। এই পণ্যগুলি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিল্প বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জৈব রাসায়নিক। ভারত থেকে বাংলাদেশে যে পরিমাণ জৈব রাসায়নিক রফতানি হয়, তা ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন শিল্প যেমন কৃষি, উৎপাদন এবং টেক্সটাইল শিল্পে।
তালিকা এখনো শেষ হয়নি, ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি করা হয় বিভিন্ন ধরনের অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ যেগুলো গাড়ির তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ভারত থেকে আসা উচ্চমানের অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করতে সহায়তা করে। ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রধান খাদ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ভাত। ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে চাল রফতানি করা হয় বাংলাদেশে।