নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল ভ্রমণের জন্য এবার থেকে আপনাকে জানাতে হবে সফরের ইতিহাসও। রেলের টিকিট বুকিং করার সময় আপনি কোথায় যাচ্ছেন সেই ঠিকানা আপনাকে উল্লেখ করে দিতে হবে এবং এটি করা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করলো রেলমন্ত্রক।
আসলে ট্রেনে ভ্রমণের পর যদি কোন মানুষের মধ্যে কোভিড ১৯ সংক্রমিত হয় তাহলে তার ভ্রমণের জায়গা ভ্রমণের সফর জানা গেলে অন্যান্য সংক্রমিতদের কাছেও খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যাবে এবং এই কারনেই রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এবার থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের সময় আপনি কোথায় যাচ্ছেন সেটিও স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এই ঠিকানাটি ভুল দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেলমন্ত্রক এটাও বলা হয়েছে, এই ঠিকানা দেওয়ার ব্যাপারে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে গেলে সমস্ত ঠিকানা মুছে ফেলা হবে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে যারা ট্রেনের টিকিট বুকিং করেছিলেন সেই সকল টিকিট বাতিল করা হয়েছে এবং টিকিট বাতিল করার সাথে সাথে যারা টিকিট বুকিং করেছিলেন তাদেরকেও টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
তবে ১২ মে থেকে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলার কথা ছিল সেগুলি চলবে এবং এই ট্রেনগুলির জন্য টিকিট বুকিংও চলছে। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে বর্তমানে শুধুমাত্র রাজধানী এক্সপ্রেসকে কাজে লাগানো হচ্ছে পরবর্তীকালে আরও দু-একটি এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়া যাবে এই যাতায়াতের জন্য।