নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালিদের অধিকাংশ পর্যটক যে সকল জায়গা ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দীঘা (Digha) এবং পুরি (Puri)। সমুদ্র সৈকতের কথা মনে আসলেই এই দুই জায়গার কথা প্রথমেই মনে আসে। এই দুই জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষকেই ট্রেন অথবা বাস বা নিজের নিজের প্রাইভেট কারে করে পৌঁছে যেতে দেখা যায়। তবে সড়ক পথ অথবা রেলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানজট এবং অন্যান্য কারণে অনেক সময় লাগে।
এমন পরিস্থিতিতে এবার জলপথে দিঘা ও পুরী যাওয়ার বন্দোবস্ত শুরু হলো। জলপথে এই দুই জায়গা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজটের মুখোমুখি হতে হবে না পর্যটকদের। অন্যদিকে জলপথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যে ধারণা রয়েছে অর্থাৎ অনেক সময় লাগে তা-ও নয়। কেননা জলপথে যাওয়ার জন্য যে রুট বেছে নেওয়া হয়েছে সেই রুটে দীঘা মাত্র ১ ঘন্টা ২০ মিনিট এবং পুরি ৬ ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে।
জলপথে এমন জনপ্রিয় দুটি ডেস্টিনেশন পৌঁছানোর জন্য ডায়মন্ড হারবার পৌরসভা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে একটি ক্রুজ চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। হুগলি নদী এবং সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করে খুব কম সহজে ও নির্ঝঞ্ঝাটে এই দুই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিষেবা শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি এমন পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি খুব তাড়াতাড়ি ট্রায়াল রান শুরু হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এমনিতে দিঘা অথবা পুরি ট্রেনে যাওয়ার জন্য প্রথমেই অধিকাংশ পর্যটকদের আসতে হয় হাওড়া, শিয়ালদা, শালিমার অথবা সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন। সেখান থেকে বিভিন্ন ট্রেন ছাড়া হয় দীঘা এবং পুরীর উদ্দেশ্যে। এছাড়াও কলকাতা থেকে দীঘা ও পুরীর সরাসরি বাস রয়েছে। তবে এইসব পদ্ধতিতে দীঘা হোক অথবা পুরি পৌঁছানোর জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে দীঘা বাসে অথবা ট্রেনে যেতেই সময় লাগে কম করে ৪ ঘন্টা। পুরীর ক্ষেত্রে এই যাত্রা পথ ৮ থেকে ১১ ঘন্টা হয়ে দাঁড়ায়।
এক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার জেটি থেকে ক্রুজটি ছাড়বে এবং তারপর সেটি পৌঁছে যাবে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তা রওনা দেবে পুরীর উদ্দেশ্যে। এই পরিষেবা চালু হলে গঙ্গাসাগর থেকেও সরাসরি পুরী যাওয়ার পথ খুলে যাবে। একইভাবে ডায়মন্ড হারবার থেকে দীঘা যাওয়ার নতুন পথ খুলে যাবে। অন্যদিকে এই ক্রুজের জন্য ভাড়া কত হবে তা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা না গেলেও পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ভাড়া ধার্য করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।