নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার থেকে নারদ মামলায় অতি তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। হঠাৎ গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এরপর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অথচ বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা ব্রাত্য! তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের দ্বিচারিতা নিয়ে। এমনকি খোদ অভিযুক্তরাই এই প্রশ্ন তুলছেন। তবে কেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি তার সাফাই দিলো সিবিআই।
সিবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও তৃণমূলের একাধিক সাংসদ রয়েছেন অভিযুক্তদের তালিকায় যাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো রকম অনুমতি মেলেনি। যে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সিবিআই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
নিয়ম অনুসারে বিধানসভার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার জন্য জানাতে হয় বিধানসভার স্পিকার এবং বিধানসভার সচিবালয়কে। অন্যদিকে সংসদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি নিতে হয় সংসদের স্পিকারের। সেক্ষেত্রে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী সহ অভিযুক্ত অন্যান্য তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এখনো পর্যন্ত সংসদের স্পিকারের তরফ থেকে কোন অনুমতি পাওয়া যায়নি। যে কারণে এদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে আবার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বিধানসভার স্পিকারকে জানানো না হলেও সিবিআইয়ের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়েছে, খোদ রাজ্যপাল এই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার অনুমতি দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর চিঠি দিয়ে বিষয়টি স্পিকারকে জানানোও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই নারদ মামলার তালিকায় এখনো পর্যন্ত যাদের নাম রয়েছে অথচ কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি তারা হলেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, অপরূপা পোদ্দার এবং শঙ্কুদেব পান্ডা।