লাল্টু : অষ্টম দফা ভোটের আগে রবিবার বীরভূমে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিক জায়গায় ছোট ছোট করে জনসভা করলেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে। আর এই সকল জনসভায় স্বাভাবিকভাবেই তাকে আক্রমণ সানাতে দেখা গেল শাসক দল তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে বেনজির আক্রমণ দেখা গেল দুবরাজপুর বিধানসভায়। যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরেই ‘দিদি ও দিদি’ সম্বোধন করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে যেমন কটাক্ষ করতে দেখা গেল ঠিক তেমনই মমতা ব্যানার্জির ভাঙ্গা পা নিয়েও কড়া আক্রমণ শানান।
এদিন বক্তব্য রাখার সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা শৌচাগারের টাকা লুট করেছে, যারা রেশনের টাকা লুট করেছে, যারা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে। আর যেমন যেমন নেতা তেমন তেমন জেলে পাঠাবো। ছোট ছোট নেতাদের সিউড়িতে, মাঝারি ধরনের নেতাদের দমদম সেন্ট্রাল জেলে আর যারা এমপি-মন্ত্রী বড় বড় নেতা তাদের ভুবনেশ্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জগন্নাথ দর্শন করার জন্য।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদির অনেক দিনের ইচ্ছা জেলে যাওয়ার। আমরা সেই ইচ্ছা পূরণ করবো। জেল গুলোকে সংস্কার করে দিদিকে জেলে পাঠাবো। আর যাদের জেলে পাঠানো হবে তাদের কেউ সারা জীবন জেলে কাটাবেন, কেউ আবার অর্ধেক জীবন জেলে কাটাবেন। ওখান থেকেই সোজা শ্মশানে পাঠানো হবে বাড়ির বউ বাচ্চাদের মুখ দেখতে দেওয়া হবে না। আর দিদিকে জেলে পাঠানোর সাথে সাথে তার ছোট ছোট ভাইদেরও জেলে পাঠাবো যাতে দিদির মন খারাপ না হয়ে যায়। আর তখন পার্টির মিটিং জেলের মধ্যে করবেন, রোদ্দুরে বাইরে ঘুরবার দরকার নেই।”
খেলা হবে প্রসঙ্গকে টেনে কটাক্ষ করার সময় দিলীপ ঘোষ জানান, “দিদি বলেছিলেন খেলা হবে। দিদির মোটা ভাই বলেছিল খেলা হবে। খেলা হচ্ছে? এখন স্ট্রাইকার তো কমেন্টেটর হয়ে গেছে মাঠের বাইরে, হুইল চেয়ারে। খেলাটা নন্দীগ্রামে শেষ হয়ে গেছে। শুভেন্দু দা শেষ করে দিয়েছেন। তাই দিদি এখন বলছেন আর খেলা হবে না, হুইল চেয়ার খেলা হবে।”
এর পাশাপাশি মমতার ভাঙ্গা পা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। ভাঙ্গা পা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “১০ বছর ধরে কিছু করেননি তাই ভাঙ্গা পা দেখিয়ে ভোট চাইতে হচ্ছে। আল্লাহকে নাম পে দে দে বাবা। ভগবানকে নাম পর দে দে বাবা। ভাঙ্গা পায়ের নামে দিয়ে দাও মা।”
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ যখন দুবরাজপুর শহরে জনসভা করছিলেন ঠিক সেইসময় তার মুখে শোনা যায় দুবরাজপুর শহরের সব থেকে বড় সমস্যা যানজটের কথা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দুবরাজপুর শহরের মতো কত পুরাতন শহরে বেরিয়ে যাওয়ার মত একটা বাইপাস তৈরি হলো না। আমি যতবারই আসি বাজারে আটকে যায়। পুলিশ দৌড়াদৌড়ি করে গাড়ি সরাই। কি আর করবে? গেলে আসা যায় না, এলে যাওয়া যায় না। কেন? এতবছর পৌরসভা চলছে। কাউন্সিলরদের গাড়ি-বাড়ি বদলে যাচ্ছে, বউদের গয়না বদলে যাচ্ছে, কিন্তু মানুষের জীবনের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।”