নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে বীরভূমে ইডি এবং সিবিআই হানা দেওয়ার পরই নতুন করে গরু পাচার কাণ্ডে তলব করা হয় দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে সিবিআই-এর সেই তলব এড়িয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে সুস্থ বলে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেও মঙ্গলবার বোলপুরের বাড়িতে তার চিকিৎসার জন্য হাজির হন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়িতে এসে চিকিৎসা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন বোলপুর সুপার স্পেস্যালিটি হাসপাতালের সার্জন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী, হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মূর্মু। চন্দ্রনাথ অধিকারীর দাবি, তিনি বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশেই চিকিৎসা করতে এসেছেন।
তবে সে যাই হোক এই বিতর্কের বাইরে অনুব্রত মণ্ডলকে দেখার পর চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, “ফিসচুলা সংক্রমণ, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার অপারেশন করার মত কোন জায়গা নেই। চিকিৎসার জন্য যা যা দেওয়ার তা দিয়ে আসা হয়েছে এবং তাকে হাই ডোজ অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়েছে।”
অনুব্রত মণ্ডলের এই শারীরিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকের দেওয়া বয়ানের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, “একজন ডায়াবেটিক পেশেন্টকে খাবারের ক্ষেত্রে যা যা বিধি নিষেধ দেওয়া হয় তাই দেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিক ডায়েট, সুগার জাতীয় খাবার না খাওয়া, ক্যালরি মেন্টেন করে খাওয়া। পাইলসের সমস্যা সমাধান করার জন্য বেশি করে জল এবং শাক সবজি খাওয়া। এছাড়াও কিছু ওষুধ রয়েছে সেগুলি খেতে হবে।”
এর পাশাপাশি চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অনুব্রত মণ্ডলকে এই মুহূর্তে কোথাও জার্নি না করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের এই ফিসচুলা রোগ প্রসঙ্গে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, “অনুব্রত মণ্ডলের এই ফিসচুলার সমস্যা বহুদিনের। এর আগেও অপারেশন হয়েছে। সেই সময় তিনটে না চারটে ছিল। একটা বাকি ছিল সেই একটাই এখন সমস্যা তৈরি করছে।”