নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর থেকেই সরকার ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর ফলপ্রসূতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমান ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে। এসবের মাঝেই এবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষনা হলো ডিজিটাল কারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আনার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভারতে এই ডিজিটাল মুদ্রা আনবে বলে মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশন পেশ করার সময় জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এটাও ঘোষণা করেন, ডিজিটাল সম্পত্তি এবং ডিজিটাল মাধ্যম থেকে আয় করার ক্ষেত্রে দিতে হবে কর।
অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে বর্তমানে বহু মানুষ ঝুঁকছেন। সেই জায়গায় ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই ডিজিটাল মুদ্রা কতটা সুদুরপ্রসারি হবে তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট অধিবেশন পেশ করার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সির মত ডিজিটাল সম্পত্তির উপর ৩০ শতাংশ কর বসাবে কেন্দ্র। তবে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে ডিজিটাল মুদ্রা আনা হচ্ছে তাতে কোনো কর বসানো হবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্রিপ্টোকারেন্সি সঙ্গে ভারতের ডিজিটাল মুদ্রার তফাৎ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, কারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার উপর কোনও ট্যাক্স ধার্য করা হচ্ছে না। তবে ক্রিপ্টোটা কোনও কারেন্সি নয়। ব্যাঙ্কের অনুমোদনপ্রাপ্ত মুদ্রা ছাড়া বাকি সবকিছুই ব্যক্তিগত ডিজিটাল সম্পত্তি। সেই সম্পত্তির উপরেই বসছে কর। সেই সম্পত্তির লেনদেন থেকে যে আয় হচ্ছে তার উপরে ধার্য করা হচ্ছে ৩০% কর।
ভারতে যে ডিজিটাল মুদ্রা আসতে চলেছে তার অনুমোদন দেবে কেবলমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। একটি ব্লকচেনের উপর ভিত্তি করে এই ডিজিটাল মুদ্রা আনা হবে। ডিজিটাল মুদ্রা আসবে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ডিজিটাল মুদ্রা আনার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই সিদ্ধান্তকেই সম্মতি দিয়ে ঘোষণা করা হলো।