নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন ভারতের হাফ কোটির বেশি মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনের উপর এই ব্যাপক নির্ভরশীলতার কারণে ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। এক সময় ট্রেনে যাতায়াত করার জন্য কাউন্টার থেকেই টিকিট কাটা হত। কিন্তু পরবর্তীতে বেড়েছে অনলাইনে টিকিট বুকিং।
অনলাইনে টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় হলো অনলাইনে টিকিট বুকিং করার সময় যাত্রীদের দেওয়া হয়ে থাকে ই-টিকিট অথবা আই-টিকিট। অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে দিনরাত টিকিট বুকিং করলেও এই দুটি টিকিটের ফারাক জানেন না। অথচ এই দুটি টিকিটই দেওয়া হয়ে থাকে যাত্রীদের।
ই-টিকিট হল ইলেকট্রনিক প্রিন্টেড টিকেট। অর্থাৎ এই টিকিট হলো সাধারণ টিকিটের ইলেকট্রনিক সংস্করণ। এই টিকিট যাত্রীরা পাওয়ার পর তা প্রিন্ট করে নিতে পারেন। প্রিন্ট করার জন্য নিকটবর্তী কোনরকম টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যাত্রীরা চাইলে বাড়িতে বসেই এই টিকিট প্রিন্ট করাতে পারেন। আবার এই টিকিট প্রিন্ট না করালেও কোন অসুবিধে নেই। কেননা মোবাইলে আসা মেসেজ অথবা ইমেইল বা অ্যাপ থেকে টিকিট দেখালেই সেই টিকিট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই ধরনের টিকিট নিয়ে যাত্রীরা যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে পারেন। তবে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের কাছে একটি আইডি প্রুফ থাকতে হয়। ট্রেনে টিটিই এসে যদি টিকিট দেখতে চান তাহলে মোবাইল থেকেও সেই টিকিট দেখিয়ে দেওয়া যায় এবং তা বৈধ হিসেবেই বিবেচিত হয়। ই-টিকিট অযথা প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয়না যাত্রীদের।
আই-টিকিটও যাত্রীরা বাড়িতে বসে ইন্টারনেট থেকে বুকিং করে থাকেন। তবে এই ধরনের টিকিট অনলাইনে বুকিং করা হলেও রেলের তরফ থেকে তা যাত্রীদের ঠিকানায় কুরিয়ার করে পাঠানো হয়। কুরিয়ার করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কারণে এই ধরনের টিকিট বুকিং করার সময় যাত্রীদের নিজের বাড়ির ঠিকানা অথবা যেখানে টিকিট সংগ্রহ করবেন সেই ঠিকানা দিতে হয়। কুরিয়ার করে টিকিট পাঠানোর কারণে আই-টিকিটের ক্ষেত্রে যাত্রার দিনে টিকিট বুকিং করা যায় না।