বঙ্গ তনয়ার জয়জয়কার, নয়া আবিষ্কারে দেশে এলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার

SHARMISTHA CHATTERJEE

Updated on:

Advertisements

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : বাংলার ছেলে মেয়েরা বারবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রেও বাংলার তাবড় তাবড় সব প্রতিভারা ছিনিয়ে এনেছে আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার। যা আমাদের কাছে সত্যিই অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

Advertisements

এই বাংলারই আর এক বঙ্গকন্যা সম্প্রতি ছিনিয়ে এনে আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার। নিজের সৃজনশীল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ১৭টি দেশকে টেক্কায় হারিয়ে পুরস্কার জিতে ফিরেছে বর্ধমানের মেমারির ছাত্রী দিগন্তিকা বসু। পদার্থবিদ্যা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিজের সৃষ্টিশীল কাজের উল্লেখযোগ্য ছাপ ফেলে এই সাফল্য তার ঝুলিতে এসেছে। সাফল্য শুধু তার একার নয় এই সাফল্য আমাদের সারা বাংলার। নজির গড়েছে দিগন্তকা। এমন সাফল্যে খুশির জোয়ার এসেছে তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধু ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মাঝে।

Advertisements

অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে। আগের সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২১ আয়োজিত হয়েছিল যে অনুষ্ঠানটিতে ২১ ও ২২ নভেম্বরের দুদিন ধরে MIICA -য় বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন স্থান থেকে বহু ছাত্রছাত্রীদের আবিষ্কৃত জিনিস সারা বিশ্ববাসীর সামনে প্রদর্শিত হয়েছিল।

Advertisements

বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা দিগন্তিকা বসু ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দিগন্তিকা কে আর কলেজ অফ নার্সিং, বেঙ্গালুরুর BSC নার্সিং-এর ছাত্রী। অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন বিভাগ যেমন পরিবেশ বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পদার্থবিদ্যা এই শাখাগুলির ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি, সিনিয়র সেকেন্ডারি, বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে এই তিনটি বিভাগের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রতিযোগিতাটিতে বিশ্বের মোট ১৭টি দেশ অংশ নেয়, তার মধ্যে পদার্থবিদ্যা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুরস্কৃত তিনজন প্রতিযোগীর মধ্যে দিগন্তিকার স্থান তৃতীয়। কে আর কলেজ অফ নার্সিং-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে দিগন্তিকা ছিনিয়ে এনেছে ব্রোঞ্জ পদক।

প্রতিযোগিতাটিতে দিগন্তিকার গবেষণার বিষয় ছিল ড্রিল মেশিন থেকে কিভাবে ধূলোকণা সংগ্রহ করা যাবে। এই ক্ষেত্রেই বাকিদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে দিগন্তিকা। ২৮ নভেম্বর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয় যেখানে তৃতীয় স্থানে দিগন্তিকার নাম প্রকাশের পরই খুশির হাওয়া তাঁর পরিবার থেকে সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার মহলে।

দিগন্তিকার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার জয় প্রথমবার নয় পূর্বেও বহু ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভার জোরে বহু পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের কথা চিন্তা করে আরামপ্রদ এক অন্যরকম নতুন মাস্ক তৈরি করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন দিগন্তিকা। বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ডা: এপিজে আবদুল কালাম ইউনাইটেড মাইন্ড চিলড্রেন ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছিল দিগন্তিকাকে।

বহুবার বহুক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার দ্বারা জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছে সে। এবার সেই উদ্ভাবনী ক্ষমতা তাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিযোগিতায় এত বড় সাফল্য এনে দিলো। ভবিষ্যতে আমাদের বাংলার সোনার মেয়ে দিগন্তিকা আরও এগিয়ে যাক এই শুভকামনা করি আমরা।

Advertisements