Digha Kolkata Bypass: ভ্রমণপিপাসুদের চটজলদি ছুটি কাটানো বা সময় কাটানোর প্রিয় স্থান হলো দী-পু-দা। দীঘা, পুড়ি ও দার্জিলিং। এই তিন জায়গার মধ্যেও কলকাতাবাসীদের বাড়ির পাশে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হলো এই দীঘা। কলকাতা বাসীরা এক দিনের ছুটি পেলেও ঘুরতে ছাড়ে না দীঘা। এখন এই দূরত্ব আরো কমতে চলেছে। প্রায় এক ঘণ্টা যাতায়াত রাস্তা কমবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যারা সড়ক পথে দীঘা যাতায়াত করেন বা দীঘা যাবেন আগামী দিনে তাদের যাতায়াত রাস্তা আগের থেকে অনেকটাই কম হবে। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত যেই বাইপাসটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মাধ্যমেই দূরত্ব কমবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। হেড়িয়া, কলিঙ্গনগর কালী মন্দির, কন্টাই ও আলমপুর ও ফতেপুরের মধ্যে রামনগর রোডের মধ্যে এই বাইপাস হওয়ার সংকল্প করা হয়েছে। বাইপাসটির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন: বাংলায় রয়েছে পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় নামের রেলস্টেশন, জানেন কোথায় এটি
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এই তিন কালই বলতে গেলে পুরো বছরই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় থাকে। কিন্তু এই বাইপাসটির কাজ সম্পন্ন হলে আশা করা হচ্ছে পর্যটক সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দীঘায় এখন অনেক কিছুই সংযোজনের ব্যবস্থা চলছে। আগে মানুষ শুধু সমুদ্র দেখতেই দিঘাতে ভিড় জমাতেন, কিন্তু দিঘায় কাজ চলছে এখন বিশাল বড়ো জগন্নাথ মন্দিরের। যা সম্পন্ন হতে এখনও বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। আগামী দিনে এই মন্দিরের দর্শনের জন্যও বাড়বে পর্যটকদের ভিড় দীঘায়।
আরো পড়ুন: মেট্রোর তরফ থেকে দেওয়া হল বড় আপডেট, আদৌ কি চালু হবে হাওড়া-সল্টলেক মেট্রো
দীঘার নতুন নতুন কার্য ও সংযোজনকে ঘিরে উন্নতি হতে চলেছে হোটেল ব্যবসায়ীদেরও। তাদের কথা অনুযায়ী অনেক নতুন নতুন হোটেল ও রিসর্টের কাজ চলছে দীঘায়। এবং তারা এই কথাও জানিয়েছেন যে আগের থেকে এখন দীঘার পর্যটক সংখ্যা অনেক বেশি এবং আগামী দিনে তারা আরো বেশি পর্যটক আশা করছেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডেক্স সূত্রে খবর প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে এই বাইপাস বানানোর জন্য। কাজ শুরু হলে হয়তো এই খরচ আরো বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পুড়ি ভ্রমণের জন্য যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জুরি মেলা ভার, কারণ এই বন্দে ভারতের জন্য পুরীর দূরত্বও অনেকটাই কমে গিয়েছে। রেল পথে দূরত্ব কমানোর কোনো খবর দিতে পারেননি রাষ্ট্র দীঘার ক্ষেত্রে। কিন্তু সড়ক পথে পর্যটকদের বেশ সুবিধে হতে চলেছে। দীপাবলীর পর পরই শুরু হয়ে যাবে বাইপাস বানানোর কাজ।