নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার দীঘার মৎস্যজীবীদের মুখে সেই ভাবে হাসি ফুটতে দেখা যায়নি। তাদের মুখে হাসি ফুটতে দেখা যায়নি মূলত সেই ভাবে ইলিশ না ওঠার কারণে। তবে ইলিশ না উঠলেও মাঝে মাঝে এখানকার মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে বড় মাপের একাধিক তেলিয়া ভোলা। লক্ষ লক্ষ টাকার এই সকল মাছ জালে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্যজীবীদের নিরাশ করেনি জলধি।
বছরের বিভিন্ন সময় দীঘার মৎস্যজীবীদের জালে বড় বড় মাপের তেলিয়া ভোলা মাছ উঠতে দেখা যায়। সেই রকমই গত শনিবার এখানকার মৎস্যজীবীদের জালে বিশাল বড় মাপের ২২ টি তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে। একসঙ্গে এই বিপুল সংখ্যক তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠায় যে দাম দাঁড়িয়েছে তা শুনলে অবাক হতে হয়।
জানা গিয়েছে, ভুবন বেরা নামে এক ট্রলার ব্যবসায়ীর ট্রলারে এমন ২২টি তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে। জালে ওঠা ওই ২২টি মাছের মধ্যে কোনোটির ওজন ২০ কেজি আবার কোনোটির ওজন ২২ কেজি। এই সকল মাছ মোহনায় আনার সঙ্গে সঙ্গেই মৎস্যজীবীদের থেকে বেশি উৎসাহ দেখা যায় পর্যটকদের মধ্যে। এরপর সেই সকল মাছগুলি আনা হয়, দীঘার মোহনার মৎস্য আরতে এবং সেখানে নিলাম করা হয়।
বিসিবির কাটায় সেই সকল মাছ নিলাম হয় বলে জানা গিয়েছে দিঘার মোহনা আরৎ সূত্রে। কলকাতার একটি সংস্থা ওই তেলিয়া ভোলা মাছগুলি কিনে নেন। ১৪ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মাছগুলি বিক্রি হয়। ২২টি মাছ বিক্রি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দাম দাঁড়ায় প্রায় কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই তেলিয়া ভোলা মাছের এত দাম হওয়ার কারণ রয়েছে তার পটকায়। এছাড়াও অন্যান্য অংশের উপকারিতাও রয়েছে। এই সকল মাছের পটকা এবং অন্যান্য অংশ ওষুধ তৈরির কাজে লাগানো হয়। যে কারণেই এই তেলিয়া ভোলা মাছ কেবলমাত্র খাবার জন্য বিক্রি হয় না। তবে এই মাছ খেতেও খুব সুস্বাদু।