দু একদিনের জন্য বেড়ানো হোক বা সপ্তাহ শেষে মন ভালো করার জন্য হোক, বাঙালির সর্বকালের প্রথম পছন্দ দিঘা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ঋতুতেই দিঘাই বাঙালির প্রথম পছন্দ। বিশেষত, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি এই দুই মাসে রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের তুলনায় দিঘায় উপচে পড়ে ভিড়। শীতের ঠাণ্ডা সামুদ্রিক হাওয়ায় সমুদ্র সৈকতে বসে চা-কফির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবার খেয়ে বাঙালির রসনা তৃপ্ত হয়। আর এই সব খাবার পাওয়া যায় একদম সমুদ্রের পাড়ে। তবে ওই সমুদ্রের পাড়ের দোকানগুলোর খাবার কতটা সুরক্ষিত সেটা পরীক্ষা করে দেখতে চায় খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
দিঘায় যারা ঘুরতে আসেন সেই সব মানুষেরা খাবার খান সমুদ্রের পাড়ের বিভিন্ন দোকান গুলিতে। সেখানে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ভাজা থেকে শুরু করে কাঁকড়া ভাজাও পাওয়া যায়। তাই ভিড়ের মাঝে এই খাবার গুলির গুণগত মান কতটা রক্ষা করছেন বিক্রেতারা সেই বিষয়েই নজরদারি করতে যাবেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ফুড সেফটি অফিসাররা। ইতিমধ্যেই তারা দিঘার সমুদ্রের তটের দোকান গুলোয় অভিযান চালান। জানা যায়, ফুড সেফটি অফিসার সাকির হোসেনের সঙ্গে সেদিন হাজির ছিলেন দপ্তরের আধিকারিক রনিতা সরকার সহ অন্যান্যরা কর্মকর্তারা।
সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যা নামতেই হঠাৎ ফুড সেফটি অফিসার সাকির হোসেন এবং রনিতা সরকার পুলিশের এক বড়ো বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান নিউ দিঘা সমুদ্র সৈকতে। সেখানে অবশ্য তাদের টার্গেট ছিল মূলত সমুদ্র সৈকতে মাছের দোকান গুলো। সেখানে গিয়ে দোকানদারদের ‘অ্যালার্জেন’ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। কামধেনু বা অন্যান্য নিষিদ্ধ খাদ্য রং, খাবার বেশি সময় সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার না করা এবং একই তেল বারবার ব্যবহার না করে ব্যবসা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ফুড সেফটি অফিসার সাকির হোসেন।
প্রতিবছরের মতো এবছরেও একইভাবে নজদারি করা হবে বলে জানান খাদ্য দপ্তরের ওই আধিকারিক। আর এরপরও যদি খাবারের গুণগত মান খারাপ হয়, বা ভেজাল জাতীয় কিছু মেশানো হয়, তাহলে, অতি সত্বর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে বলেও জানিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
যেহেতু দিঘায় দিনে দিনে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ছোটো ছোটো খাবার দোকান। এবার এই খাওয়ারের দোকান গুলি যাতে খাবারের গুণগত মান বজায় রাখে তার জন্যই খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের এই বিশেষ নজদারির ব্যবস্থা।