নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমের কোটাসুরে এসে প্রধান এবং বিডিও খুব তাড়াতাড়ি জেলের ভাত খাবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন। যদিও তার এই হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজ্যের ডেপুটি চেয়ারম্যান আশীষ ব্যানার্জি তাকে ‘ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
রবিবার দিলীপ ঘোষ কোটাসুরের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “দিল্লিতে মন্ত্রীর সাথে কথা বলে এসেছি। সব এমপিদের নিয়ে গিয়েছিলাম। সব একেকটা ইনকোয়ারি করাবো। আর এই প্রধান, বিডিও বাকি জীবনটা যদি জেলের ভাত না খায় বলে দিচ্ছি আপনাদের। কাউকে ছাড়া হবে না। গরিব মানুষের টাকা মেরে তিন তলা বিল্ডিং করবে আর বারান্দায় বসে চা খাবে, আমরা ছেড়ে দেবো? ওটা হতে দেব না।”
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “সব হিসাব হবে। এই পাঁচ বছরের মধ্যে বহু লোক জেলে যাবে, বহু লোক ঘরছাড়া হবে। পুজোর আগেই অনেকে সেই সুযোগ পাবে। আমি ডায়ালগ দিই না, যা যা বলেছি তাই হয়েছে। সবার কাছেই ইডি আর সিবিআইয়ের চিঠি আসছে, সঙ্গে সঙ্গে বিপি আর সুগার বেড়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের বিল মেটাচ্ছে। আমরা যেমন মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমরা যেমন ঘর ছেড়ে মাসের পর মাস বাইরে থেকেছি, বউ বাচ্চার মুখ দেখতে পাইনি। ঠিক তেমনটাই করবো। বাড়িছাড়া করবো, জেলের ভাত খাওয়াবো।”
যদিও দিলীপ ঘোষের এই হুঁশিয়ারিকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দোপাধ্যায়। তিনি এদিন পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে ‘ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তার কথায় ‘পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়’।
আশীষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “একে পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। কোন জনভিত্তি নাই, গণভিত্তি নাই। স্বাভাবিকভাবেই উল্টোপাল্টা বলবে। ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা, লাফিয়ে বেড়ায় লাফিয়ে বেড়াবে।”
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ শনিবার বীরভূমে আসেন। প্রথমে সেখানে এসে তিনি সিউড়ির একটি বেসরকারি লজে ওঠেন। তারপর রামপুরহাটে এক কর্মীর স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরে রবিবার জেলার সদর শহর সিউড়ি এবং কোটাসুরে একাধিক দলীয় কর্মসূচি সারতে দেখা যায় তাকে।