হিমাদ্রি মন্ডল : রাজ্যের চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচিতে বাহিনী গুলি চালায়। যে ঘটনায় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চারজন। আর এই ঘটনাকে নিয়ে বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রীদের মধ্যে নানান বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। যাদের তালিকায় ছিলেন দিলীপ ঘোষও। আর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তবে সেই সকল পদক্ষেপকে তোয়াক্কা না করেই ফের একবার ‘শীতলকুচি হতে পারে’ এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে একটি জনসভা করার সময় এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যেখানে তাকে বলতে দেখা যায়, “সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট এবার বীরভূমে হবে। কারণ হিম্মত নেই একটা ভোট আটকে দেয়, চমকে দেয়। তাহলে কিন্তু শীতলকুচি হতে পারে। খুব সাবধান। আপনারা ভাববেন না এই যে সুরক্ষা বাহিনী এসেছে তারা খুব চুপচাপ শান্তশিষ্ট। তাদের বন্দুকের গুলিটা কিন্তু বেশ গরম আছে। সইতে পারবেন না। সাবধান থাকুন। অনেক হয়েছে উৎপাত। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, সেন্ট্রাল ফোর্সের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, ভোট করাতে চেয়েছিলেন। এখন দিদি হেরে গেছেন, হেরে ভূত হয়ে গেছেন। যে খেলা হবে, খেলা হবে বলেছিলেন সেই খেলা নন্দীগ্রামে শেষ হয়ে গেছে। এখন খেলা হচ্ছে না, হুইল চেয়ার ঠেলা হচ্ছে।”
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ সিউড়ির সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করেই তার সম্পত্তি নিয়ে তাকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “শুনছি নাকি এখানকার যিনি বড় নেতা আছেন তাকে আর শ্বশুরবাড়ির লোক খুঁজতে গেছেন। সিবিআই-এর লোকেরা নাকি খোঁজখবর শুরু করেছে। তিনজন মন্ডল আর একজন চ্যাটার্জী, এই চারজন মিলে ৫০০ কোটি টাকার মালিক। টাকার গাছ আছে বাড়িতে? কোথা থেকে এলো এর হিসাব কিন্তু দিতে হবে। কোথাও পালাবার জায়গা নায়। সিবিআই আছে, এডি আছে, হিসাব নেবে আর বাকি জীবনটা জেলের ভাত খেতে হবে।”