সঠিকভাবে টেস্ট হচ্ছে না, মৃতের সংখ্যা চাপা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ দিলীপের

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : “টেস্ট না হওয়ার জন্য বহু মানুষ হাসপাতালে গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তারপর তারা মারা যাচ্ছেন। এরকম একাধিক ঘটনা রয়েছে, যেখানে টেস্ট না হওয়ার জন্য মানুষ মারা যাচ্ছেন আর পরে তার শরীরে ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু আগে থেকে টেস্ট করা হয়নি তাই স্বীকার করা হচ্ছে না করোনা সংক্রামিত হয়ে মারা গিয়েছেন। অথচ করোনায় মারা যাওয়ার মতোই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। বাড়ির লোকেদের ডেডবডি দেওয়া হচ্ছে না, যেভাবে করোনা রোগীদের পোড়ানো হয় বা সৎকার সেই ভাবেই করা হচ্ছে।এরকম ১৫-২০টি ডেডবডি সরকার নিজের দায়িত্বে পুড়িয়েছে অথচ স্বীকার করছে না করোনায় মারা গেছে। মজার ব্যাপার রোগী কি রোগে মারা গেল ডাক্তাররা লিখতে পারবেন না।” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ একটি ভিডিও বার্তায় এমন নানান অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে। এমনকি সংক্রামিতদের সংখ্যাও কমিয়ে দেখাচ্ছে। করোনা নিয়ে ছেলেখেলা করছে রাজ্য সরকার, যা বিপদজনক হতে পারে রাজ্যের পক্ষে। রাজ্যের ৯ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০০০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এমনি মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে ওই রোগীর চিকিৎসা চলেছে একেবারে করোনা রোগীর মত। করোনা সংক্রমণ হওয়ার শুরু থেকেই রাজ্যের সাথে কেন্দ্রের পরিসংখ্যানের গরমিল রয়েছে।” সংখ্যার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার শেষ যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ১১০, মৃত ৭। অথচ কেন্দ্রের হিসাব বলছে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ১৯০। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬ জন, মারা গিয়েছেন ৭ জন। অর্থাৎ অ্যাক্টিভ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১৪৭।

পাশাপাশি হাসপাতালে পরিকাঠামো নিয়ে দিলীপ ঘোষ এদিন জানান, “আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তখন দেখছি বিভিন্ন সাফাইকর্মীরা হাফ প্যান্ট পরে, চপ্পল পরে কাজ ক‌রছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ হচ্ছে। এঁদের সকলের প্রয়োজনী পোশাক দিতে হবে রাজ্যকে। সকলের জীবন বিমাও করে দিতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর যেভাবে কাজ করছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বহুসংখ্যক ডাক্তার ও নার্স অসুস্থ হয়ে পড়বেন।”

এছাড়াও এদিন টাকা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “একজন করোনা সংক্রামিত হওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী টাকা টাকা করছিলেন। তারপর তিনি আবার ১০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করার সুপারিশ জানান। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই দু’লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে দিয়েছে। আর সেই প্যাকেজ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের হাতে ২২০০ কোটি টাকা চলে এসেছে। কিন্তু সেই টাকা গেল কোথায়? পরিকাঠামো কোথায় তৈরি করা হচ্ছে?”

যদিও দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত শাসক দলের কোনো নেতা নেত্রীর কোনোরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।