নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে করোনার সাথে লড়াই করার পর অবশেষে নতুন বছরে ভারত সরকারের তরফ থেকে দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনকে জরুরী ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র মিলতেই কিভাবে এই ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে তা নিয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে সরকার। পাশাপাশি প্রথম দফায় কাদের এই ভ্যাকসিন তাও ঠিক করে নেওয়া হয়। যার পরেই শুরু হয় ভ্যাকসিন বন্টন প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাই ভ্যাকসিন গাড়ি। রাজ্যে মোট ভ্যাকসিন আসে ৭৩৭৫০০ টি। আর সেই গাড়িতে আসা ভ্যাকসিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাথে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বুধবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন বন্টন প্রক্রিয়া শুরু করার পর ইতিমধ্যেই তা রাজ্যের ২৮ টি জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। কলকাতার জন্য ৯৩,৫০০ ভ্যাকসিন রেখে বাকি ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিতে। জেলাগুলি প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পাচ্ছে ৬,৪৪,৫০০ টি।
আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই সকল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি কোনায়। প্রথম দফায় চিহ্নিত করা প্রথম সারির যোদ্ধা স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। দুটি পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। এখন জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কত সংখ্যক ভ্যাকসিন পৌঁছালো।
কোচবিহার : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৮৫০০ ভ্যাকসিন।
জলপাইগুড়ি : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৬৫০০ ভ্যাকসিন।
দার্জিলিং : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৮০০০ ভ্যাকসিন।
কালিম্পং : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৩৫০০ ভ্যাকসিন।
আলিপুরদুয়ার : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১২৫০০ ভ্যাকসিন।
উত্তর দিনাজপুর : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৭০০০ ভ্যাকসিন।
দক্ষিণ দিনাজপুর : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ২০৫০০ ভ্যাকসিন।
মালদা : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ২২০০০ ভ্যাকসিন।
মুর্শিদাবাদ : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৩৭৫০০ ভ্যাকসিন।
নদীয়া : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ২২০০০ ভ্যাকসিন।
বাঁকুড়া : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৮৫০০ ভ্যাকসিন।
বিষ্ণুপুর : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৬৫০০ ভ্যাকসিন।
পুরুলিয়া : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৮০০০ ভ্যাকসিন।
পূর্ব মেদিনীপুর : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৩১৫০০ ভ্যাকসিন।
পশ্চিম মেদিনীপুর : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৯০০০ ভ্যাকসিন।
উত্তর ২৪ পরগনা : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৪৭০০০ ভ্যাকসিন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ২৬০০০ ভ্যাকসিন।
হুগলি : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৩২০০০ ভ্যাকসিন।
ঝাড়গ্রাম : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৯৫০০ ভ্যাকসিন।
বসিরহাট : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৩৫০০ ভ্যাকসিন।
নন্দীগ্রাম : এখানে প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১১০০০ ভ্যাকসিন।
হাওড়া : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ২৮৫০০ ভ্যাকসিন।
কলকাতা : এই জেলার জন্য প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ৯৩৫০০ ভ্যাকসিন।
বীরভূম : এখানে প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১১৫০০ ভ্যাকসিন।
রামপুরহাট : এখানে প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো হয়েছে ১০৫০০ ভ্যাকসিন। বাকি অন্যান্য জায়গায়।