নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস এখন শুধু স্থলভাগে আছড়ে পড়ার অপেক্ষায়। অনুমান করা হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরের আগেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে ওড়িশার চাঁদবালি ও ধামারা বন্দরের মাঝে কোন একটি স্থানে। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে অন্যত্র হওয়ার কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। তবে বিপুল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা কোন মতেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে কেন্দ্রের জলসম্পদ মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই তাদের তরফ থেকে রাজ্যকে সতর্কবার্তা হিসেবে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আম্ফানের মত অতটা ক্ষতিকর হবে না এই ঘূর্ণিঝড়। এই আশ্বাসবাণী দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কোন জেলায় কত গতিবেগে বইতে পারে ঝড়।
১) ২৬ তারিখ দুপুর থেকে কলকাতায় ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে এই গতিবেগ সর্বোচ্চ থাকবে বলেই অনুমান করছে হওয়া অফিস।
২) উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে দমকা হওয়া এবং ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। বুধবার দুপুর থেকেই এই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে।
৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুধবার দুপুর থেকেই দমকা হওয়া লক্ষ্য করা যাবে এবং গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।
৪) ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বুধবার দুপুর থেকে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে এই দুই জেলায়।
৫) সবথেকে বেশি ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। এই জেলায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। সঙ্গে এই জেলায় সবথেকে বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
[aaroporuntag]
৬) হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার। তবে এই এলাকাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে।