DL in West Bengal: লাইসেন্স থেকে গাড়ির মালিকানা বদল, বাড়িতে বসেই করা যাবে এই ১০২টি কাজ

সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই বছরের শুরুতেই পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড়রকম পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। বহুদিন ধরেই পরিবহন দফতর চেষ্টা করছিল, RTO অফিসগুলিতে যাতে ভিড় কমানো যায় এবং তার সাথে দালালের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো হলো এদের মূল উদ্দেশ্য।অনলাইনে লাইসেন্স (DL in West Bengal) পরিষেবা চালু করা হলো। বর্তমানে RTO অফিসে না গিয়ে প্রায় ১০২ টি পরিষেবা আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন। দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, ইতিমধ্যেই নানান আবেদন অনলাইনে জমা পড়তেও শুরু করেছে। লাইসেন্স (DL in West Bengal) সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তোলারও কাজ চলছে।

অনলাইন মাধ্যমে মানুষ বহু সুবিধা পাচ্ছে। যেমন, বাণিজ্যিক গাড়ি এবং ব্যক্তিগত গাড়ির নথির পরিবর্তিন, গাড়ির ডুপ্লিকেট রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র, ফিটনেস শংসাপত্র,গাড়ির মালিকানা হস্তান্তর, গাড়ির নো অবজেকশন শংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্রে ঠিকানা পরিবর্তন, গাড়ির নথিভুক্তি, রোড ট্যাক্সের পেমেন্ট করা সবই হচ্ছে অনলাইনে।

এইসব সুবিধা ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা মানুষ এখন অনলাইনে ঘরে বসেই পেয়ে যাবে।ড্রাইভিং লাইসেন্সের গাড়ি শ্রেণি সমর্পণ-পারমিট সংক্রান্ত পরিষেবা, পারমিটের জন্য অফার লেটার, অস্থায়ী পারমিট নেওয়া থেকে অন্তর্দেশীয় পারমিট,মোবাইল নম্বর আপডেট করা, যানবাহনের পরিবর্তন, যানবাহনের রূপান্তর, শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্সের (DL in West Bengal) ঠিকানা পরিবর্তন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুমোদন, সারা বাংলা পণ্যবাহী গাড়ির পারমিটের ক্ষেত্রেও অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

দালাল চক্রের দাপট যাতে কম হয় সেই কারণে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গুলো ১০০% কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। গাড়ি কেনার পরে যখন ব্যাঙ্ক ঋণ (Bank loan) শোধ হয়ে যায়,তখন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। এখন তাও হয়ে যাবে অনলাইনে, এমনকি অনলাইনে টাকাও জমা দেওয়া যাবে।

রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী হাওড়ার এক অনুষ্ঠানে এসে বলেছিলেন, লাইসেন্সের আবেদন করতে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে।আবেদন করার তালিকা অনুযায়ী, আবেদনকারীকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। পরীক্ষা দেওয়ার পর ৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স (DL) তুলে দেওয়া হবে।এছাড়া, আবেদন করার পরই তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসবে আবেদন জমা করার বার্তা হিসাবে।যতক্ষণ না লাইসেন্স হাতে পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ আবেদনকারী ওই মেসেজ দেখিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন। কলকাতার এবং রাজ্যের পুলিশ এ বিষয়ে অবগত থাকবেন। এখন শুধু দেখার কথা তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা কার্যকর হয়।