Cucumber Cultivation: এমন কিছু খাবার রয়েছে যা কাঁচায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয় এবং পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। তেমনি একটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাদ্য হলো শশা। যা আমরা স্যালাড হিসেবে গ্রহণ করি। অন্যদিকে শশা পেকে গেলে কোনো তরকারিতেও ব্যবহার করে তা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে এই শশা যদি বাড়িতে চাষ করতে চান তাহলে তা খুব সহজেই করা যায়। খুব বড় পরিসর জায়গা প্রয়োজন হয় না। ছোটো জায়গাতেই সিমেন্টের বস্তাতে চাষ করা যায় শশা (Cucumber Cultivation)। তাই যারা ছোটো জায়গায় চাষ করার পরিকল্পনা করেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি। জেনে নিন সহজে কিভাবে কয়েক দিনের মধ্যেই তরতাজা শশা উৎপন্ন করা যায়।
প্রসঙ্গত বর্তমানে বাজারে সবজির যা দাম তাতে করে অনেকেই ছোটখাটো জায়গায় কিছু সবজি চাষের পরিকল্পনা করেন। অনেকে শখে করেন তো অনেকে নিজের হাতে তৈরি চাষের জিনিস খাওয়ার জন্য করেন। এক্ষেত্রে অনেকেই ভেবে পান না ছোটখাটো জায়গায় কি চাষ করলে ভালো ফলন হয়। তাই তাদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে স্বল্প পরিসর জায়গায় শশা চাষের (Cucumber Cultivation) সহজ পদ্ধতি। যা সঠিক নিয়মে চাষ করলে পাওয়া যাবে তরতাজা ফলন।
আরো পড়ুন: অর্থ আকর্ষণের জন্য বাড়িতে কোন গাছ লাগাবেন জেনে নিন এই প্রতিবেদনে
প্রথমত, শশা চাষ (Cucumber Cultivation) করতে গেলে যেগুলি লাগে তা হল স্বল্প পরিসর জায়গা, মাটি, শশার বীজ, বিশেষ কিছু সার, জল এবং আলো -বাতাস। এই উপাদানগুলি সহযোগে ঠিকঠাক নিয়মে চাষ করলে দুর্দান্ত ফলন হবে শশা গাছে। ছোটখাটো নয়, হবে বোতল বোতল সাইজের শশা। ঠিক কি কি নিয়মে চাষ করতে হবে? জেনে নিন পদ্ধতিগুলি।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন শরীরে বাসা বেঁধেছে কিনা সুগারের মতো রোগ, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে
শশা চাষ (Cucumber Cultivation) করার জন্য প্রথমে বাড়ির পাশে ছোটখাটো কোনো জায়গা অথবা সিমেন্টের বস্তায় দোঁয়াশ মাটি এবং গোবর সার মিশিয়ে ভালো মাটি তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই তৈরি করা মাটির একটু ভিতরে শশার বীজগুলি ভালো করে রোপন করতে হবে। এরপর এক সপ্তাহ নিয়মিত জল দিতে হবে বীজগুলিতে। দেখবেন ছোট ছোট চারা গাছ বের হতে। শশার বীজ থেকে চারাগাছ বের হলে ২০ দিন ভালোভাবে যত্ন করতে হবে। এর জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো এবং জল। পাশাপাশি শশার বৃদ্ধির জন্য কপার সালফেট, সীসা, জিঙ্ক প্রভৃতি যুক্ত সার গাছে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও শশা গাছ সরু লতানে হয় তাই এক্ষেত্রে গাছ বৃদ্ধির সাথে সাথে বাঁশ বা সুতা দিয়ে শসা গাছের মাচা তৈরি করতে হবে। তারপরে দেড় মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন শশা গাছে বোতল সাইজের শশার ফলন। তবে জল ও সার দিতে ভুলে গেলে চলবে না। নিয়মিত দিতে হবে। তাহলে দেখবেন বাম্পার শশার ফলন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি শশা হল একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। যা জলের ঘাটতি মেটায়। বহুবিধ স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এই শশার মধ্যে। তাই প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় স্যালাড হিসেবে শশা রাখা উচিত। প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে এই শশায়। যা বিশেষ করে গরমকালে খাওয়া অত্যন্ত উপকার। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি শশার মতো তরতাজা থাকে ত্বক।