Electricity Bill Payment: ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার সময় কখনোই করবেন না এই ভুল! না হলে ভুগতে হবে

Do not make this mistake while making Electricity Bill Payment: আমরা বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করে থাকি। ইলেকট্রিসিটি ছাড়া বর্তমানে একটা মুহূর্তও ভাবতে পারিনা আমরা। কিছু অর্থের বিনিময়ে আমরা এই পরিষেবাটি গ্রহণ করে থাকি। প্রতি বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিসিটির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস অন্তর বিল পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। তিন মাসের বিল (Electricity Bill Payment) একসাথে করে পাঠানো হয় বলে বিলে লিখিত অর্থের পরিমাণও একটু বেশিই থাকে। তবে বিল শোধ করার জন্য গ্রাহককে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। প্রতি মাসে কিছু কিছু করে টাকা পরিশোধ করলে গ্রাহকের উপর তেমন চাপ পড়ে না।

কিন্তু বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill Payment) জমা করার সময় আপনি কোন ভুল করে ফেলছেন না তো? এমন একটা ভুল যা আপনাকে বড় ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে, যেকোনো দিন আপনার বাড়ির ইলেকট্রিসিটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিছুদিন আগেই কুলটির একটি ঘটনা আমাদের সতর্ক করেছে এই মারাত্মক ভুলটি করার থেকে।

কুলটির বেশকিছু বিদ্যুৎ উপভোক্তার দাবি তারা প্রতি মাসে সঠিক সময় তাদের ইলেকট্রিক বিল (Electricity Bill Payment) পরিশোধ করেছিলেন তাঁরা। প্রতি মাসে বিল দিয়ে যেতেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের হাতে কিন্তু নানা অজুহাতে সেই কর্মীরা তাদেরকে কোন রকম রশিদ দিতে চাইতো না। ফোনে কোনরকম ম্যাসেজ আসেনি তাদের। শুধুমাত্র হাতে লিখে দিত সেই দপ্তরের কর্মীরা। উপভোক্তারা বিল পরিশোধ করলেও বিল পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে। আর তাই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা তাদের বাড়িতে পৌঁছে যান বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করার জন্য।

আরও পড়ুন 👉 Electricity Bill of Bollywood Celebrities: বলি তারকাদের মাসে মাসে ইলেকট্রিক খরচ কত জানেন! কেনা হয়ে যাবে ছোট ছোট ফ্ল্যাট

ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির নিয়ামতপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। উপভোক্তারা দুজন অভিযোগের নাম সবার সামনে নিয়ে এসেছেন তারা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে তারা বিল (Electricity Bill Payment) পরিশোধ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তুলে দিতেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী সুব্রত চ্যাটার্জী ও দেবাশীষ মাঝির হাতে। কিন্তু তার পরিবর্তে তারা কোনো রকম পাকাপোক্ত রশিদ উপভোক্তাদের দেননি। এরপর বিদ্যুৎ কর্মীরা সেই উপভোক্তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে গেলে আসল ঘটনা সামনে আসে। সকালেই বুঝতে পারেন যে আদতে ওই দুই ব্যক্তি এতদিন ধরে কোন বিল জমাই করেননি।

এরপর ওই উপভোক্তারা বিদ্যুৎ অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেও ওই দুই অভিযুক্তকে অফিসে দেখা যায়নি। আর তাতেই তাদের ক্ষোভ আরো বেড়ে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ সেই স্থানে হাজির হয়। বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী স্বীকারও করে নিয়েছেন যে সত্যি গ্রাহকদের হাতে কোনরকম বিল দেওয়া হয়নি। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে ঠিকই কিন্তু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।