Use Safety Harness : সাধারণ মধ্যবিত্তের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হলো দুই চাকার বাইক কিংবা স্কুটার। রাস্তায় বেরোনোর সময় শিশুদেরকে নিয়ে বাইক কিংবা স্কুটারে যাত্রা করে থাকে বহু মানুষ। সাধারণত দুটো যাত্রীর মাঝখানেই বসানো হয় শিশুদের এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের মাথায় থাকে না কোনরকম হেলমেট। এই নিয়মেরই পরিবর্তন আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এবার থেকে শিশুদের বাইক কিংবা স্কুটারে বসালে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সেফটি হার্নেস।
ভারতের মধ্যে কর্ণাটক সরকার খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়মটিকে বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। শিশুদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই নিয়ম আনা হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় স্কুটার কিংবা বাইকে চেপে যাত্রা করার সময় শিশুদের মাঝখানে বসানো হয় এবং তাদের মাথায় কোনরকম হেলমেটের ব্যবহার করা হয় না। আর এর থেকে দুর্ঘটনা ঘটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সূত্র মারফত জানা গেছে যে দাঁড়া, ৯ মাস থেকে ৪ বছরের শিশুদের বাইক বা স্কুটিতে চড়ালে বাধ্যতামূলকভাবে সেফটি হার্নেস ব্যবহার (Use Safety Harness) করতে হবে।
বেশ কয়েকদিন আগে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়মটিকে কার্যকর করেছে। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের সরকার কোনভাবে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি কিন্তু এখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়টির ওপর তবে এবার কর্নাটকের পরিবহন দফতর শিশুদের জন্য সেফটি হার্নেস ব্যবহার (Use Safety Harness) বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: না থাকলেও চিন্তা নেই, এবার ডেকে ডেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে পুলিশ
এই বিষয়টি নিয়ে পরিবহন দপ্তর জানিয়েছে যে, যেহেতু সেফটি হার্নেস ব্যবহার করা হয় না তাই পথ দুর্ঘটনাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। বাচ্চাদের বাইকে দুই সিটের মাঝে বসিয়ে বা স্কুটির সামনে পাদানিতে দাঁড় করিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি হঠাৎ কোনো কারণে ব্রেক মারা হয় তাহলে দুর্ঘটনার শিকার হবে শিশুরাই। এই কারণেই সেফটি হার্নেস প্রয়োজন (Use Safety Harness)।
বর্তমানে কর্ণাটক সরকার এই বিষয়ে যথেষ্টই তৎপর। সেফটি হার্নেসের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু হয়ে গেছে এবং পুলিশ ও স্কুলের পড়ুয়ারা চেষ্টা করছে বেশিমাত্রায় প্রচার চালানোর। যদি কোন ব্যক্তি প্রচারের পরও নিয়ম না মানে তাহলে তাকে কড়া জরিমানা দিতে হবে।