নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রায় এক কোটি নাগরিক প্রতিদিন রেল পরিষেবার উপর ভর করে বিভিন্ন জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। রেল পরিষেবার ওপর এমন ব্যাপক নির্ভরশীলতার কারণে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। মূলত কম খরচে এবং স্বাচ্ছন্দে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাওয়ার কারণেই অধিকাংশ মানুষ রেল পরিষেবাকে বেছে নেন।
রেল পরিষেবার উপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলের নিজস্ব বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। কোন যাত্রী রেলের সেই সকল নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা সহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রেলের যে সকল নিয়ম রয়েছে সেই সকল নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম হলো যাত্রীর কাছে ট্রেনের টিকিট (Train Ticket) থাকা বাধ্যতামূলক। কোন জাতির কাছে টিকিট না থাকলে তাকে জরিমানা দিতে হয়। আবারও কখনো কখনো এর থেকেও বড় শাস্তি পেতে হয়।
রেল পরিষেবায় সাধারণত দু’ধরনের টিকিট আমরা দেখতে পায়। একটি হলো প্যাসেঞ্জার বা লোকাল ট্রেনের জন্য টিকিট এবং অন্যটি হলো মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য টিকিট। এক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে লোকাল ট্রেনের টিকিট থাকলে তিনি কখনোই ওই টিকিটে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়তে পারেন না। কেননা লোকাল ট্রেনের তুলনায় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের ভাড়া অনেক বেশি। এই বিষয়টি অনেকেই জানেন। কিন্তু প্রশ্ন হল লোকাল ট্রেনের টিকিটে কি এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়া যেতে পারে?
এই বিষয়টি ৯০ শতাংশের বেশি যাত্রীদের জানা নেই। অনেকেই জানেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট দিয়ে কখনোই লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করা যায় না। কিন্তু রেলের তরফ থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই তথ্য অনুযায়ী কারো কাছে এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট থাকলে তিনি লোকাল ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে পারেন। কেননা লোকাল ট্রেনের টিকিটের তুলনায় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের দাম অনেক বেশি। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
যেমন আপনি যে রুটের এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র সেই রুটেই যেতে পারবেন। উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, ধরুন আপনি হাওড়া থেকে শান্তিনিকেতন আসার জন্য এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছেন। এক্ষেত্রে আপনি হাওড়া থেকে শান্তিনিকেতন লোকাল ট্রেনেও আসতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ওই রুটের মাঝপথের কোন স্টেশনেও নেমে যেতে পারেন।