নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে গণপরিববনের মেরুদন্ড হিসাবে রেল পরিষেবাকে ধরা হয়ে থাকে। রেল পরিষেবা ছাড়াও গণপরিবহনের আরেক মেরুদন্ড হিসেবে বাস পরিষেবা (Bus Service) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনই সরকারি থেকে বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের বাসে চড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এক্ষেত্রে ট্রেন হোক অথবা বাস, নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে টিকিট বুকিং করার পরই যাত্রীদের পরিষেবা পেতে হয়।
বিনা টিকিটে ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যদি কোন যাত্রী ধরা পড়েন তাহলে তাকে দিতে হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা। সরকারি বাসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম রয়েছে। সরকারি বাসের ক্ষেত্রে হয় আগে টিকিট বুকিং করতে হয় অথবা বাসে চড়েও টিকিট বুকিং করা যায়। কিন্তু সরকারি বাসে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করলে কত টাকা জরিমানা দিতে হয় তা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জেনেও সামান্য টাকা বাঁচানোর জন্য যেমন সরকারের ক্ষতি করে থাকেন, ঠিক সেই রকমই আবার ধরা পড়ে নিজেদের পকেট ফাঁকাও করে থাকেন।
সরকারি বাসে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যেখানে নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য টিকিট ভাড়া লাগে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সেই জায়গায় অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা কন্ডাক্টরকে ১০-২০ টাকার বিনিময়ে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যান। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় লাগাম টানার জন্য সরকারি বাসে মাঝেমধ্যেই মাঝ রাস্তাতে চেকিং করা হয়। আর সেই চেকিংয়ে ধরা পড়লেই কন্ডাক্টর সহ যাত্রীকে ফাইন দিতে হয়। এখন দেখে নেওয়া যাক কত টাকা ফাইন দিতে হয়?
যদি এই ধরনের ঘটনায় চেকিংয়ের সময় যাত্রীরা ধরা পড়েন তাহলে তাদের ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে যে বাসে এমন ঘটনা ঘটে সেই বাসের কন্ডাক্টরকে যাত্রী পিছু আলাদা করে জরিমানা ধার্য করা হয়। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ওই কন্ডাক্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে দপ্তর। এমনকি এই ধরনের ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ আসতে দেখা গেলে ওই কন্ডাক্টারের চাকরি পর্যন্ত যেতে পারে।
এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য একজন কন্ডাক্টার ও চালকের কাছে কত টাকা রয়েছে তাও চেক করা হয়ে থাকে। এসি বাসের ক্ষেত্রে ২০০ টাকার বেশি এবং সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বেশি থাকলে তার জন্য কৈফিয়ত দিতে হয়। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কন্ডাক্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে সকল যাত্রীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তাদেরও বারবার সতর্ক করে থাকে দপ্তর। কেননা বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ১০-২০ টাকা বাঁচানোর জন্য ১০ গুণ বেশি টাকা ফাইন হিসাবে দিতে হয়েছে যাত্রীদের।