Local Pamban Setu: নৌকা এলে উঠে যায়, গাড়ি এলেই নামে! রামেশ্বরম নয়, বাংলার বুকেই রয়েছে লোকাল পামবান সেতু!

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পামবান সেতু (Pamban Setu) সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষেরাই অল্পবিস্তর জানেন। এটি হলো দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতু। যে সেতুর উপর দিয়ে ছুটে যাবে ট্রেন, আবার সমুদ্রের মাঝে তৈরি হওয়া এই সেতুটি এমন প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে তৈরি করা হয়েছে যে, সমুদ্রে জাহাজ এলেই সেতু উপরের দিকে তুলে দেওয়া হবে যাতে করে খুব সহজেই জাহাজটি পেরিয়ে যেতে পারে।

Advertisements

রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে এমন সেতু তৈরি করা হয়েছে, রামেশ্বরম দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য। এই সেতু দেশের উন্নত প্রযুক্তির একটি নিদর্শন। এই সেতুটি নির্মাণের কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই সেতুর উদ্বোধন হয়ে যাবে। তবে জানলে অবাক হবেন, ঠিক একই ধরনের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলার বুকেও একটি লোকাল পামবান সেতু (Local Pamban Setu) রয়েছে। যদিও ওই সেতুর কোন নাম নেই।

Advertisements

লোকাল যে সেতুটির কথা বলা হচ্ছে সেই সেতুটি রয়েছে দামোদর খালের উপর। হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত উলুবেরিয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এই সেতু রয়েছে। এই সেতুটি কাঠের তৈরি এবং এই সেতুর কারণে দুই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা বেঁচে যায়। সেতুটি এক ব্যক্তি তৈরি করিয়েছেন এবং তিনি যারা পারাপার করেন তাদের থেকে টোল নেন। তবে এই ধরনের সেতু সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Second Hooghly Bridge: সরকার করেনি তো কী! নিজের খরচায় আস্ত ব্রিজ বানালেন প্রৌঢ়! তাও হুবহু হুগলি ব্রিজের মতই

হাওড়ার বুকে লোকাল যে পামবান সেতু রয়েছে সেটিও আসল পামবান সেতুর মতো উঠানামা করে। যখন দামোদর খাল দিয়ে কোন নৌকার আসে তখন ওই সেতুটির একটি অংশ কপিকলের সাহায্যে তুলে দেওয়া হয়। খাল দিয়ে নৌকা পেরিয়ে গেলে ফের কপিকলের সাহায্যে সেতুর তুলে দেওয়া অংশ নামিয়ে দেওয়া হয়। আর এই ভাবেই বছরের পর বছর ধরে ওই সেতু পরিষেবা দিয়ে আসছে এলাকার বাসিন্দাদের।

দামোদর খাল থাকার কারণে উলুবেরিয়া এবং শ্যামপুরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় রয়েছে অত্যন্ত প্রতিকূলতা। আর এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য গত দু’বছর আগে ওই সেতু তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ওই সেতুটি তৈরি হওয়ার ফলে এখন শ্যামপুর এবং উলুবেরিয়ার বাসিন্দারা টুক করে সেতু দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন। অল্প খরচের বিনিময়ে সেতু পারাপার করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাওয়ার কারণে সময় এবং অন্যান্য খরচও অনেকটাই বেঁচে যায়।

Advertisements