বিস্কুটের গায়ে কেন এত ছিদ্র! নকশা নাকি অন্য কিছু! জানুন আসল কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : সকাল বিকাল চায়ের পেয়ালার সঙ্গে অন্ততপক্ষে দুটি করে বিস্কুট (Biscuits) থাকবেই। কেউ কেউ অবশ্য চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন না, তবে সেই সংখ্যাটা অতি নগণ্য। শুধু চায়ের সঙ্গে নয়, এর পাশাপাশি সামান্য খিদে পেলেই অনেকে বিস্কুট দিয়েই সেই খিদে পূরণ করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্কুট যেমন অধিকাংশ মানুষের কাছেই প্রিয়, ঠিক সেই রকমই আবার বিস্কুটের জুড়ি মেলা ভার।

আবার বাজারে গিয়ে সকল বিস্কুট পাওয়া যায় সেই সকল বিস্কুটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে। কোনোটি মিষ্টি, কোনটি নোনতা, কোনটি আবার সুগার ফ্রি ইত্যাদি। আবার আকারের ক্ষেত্রেও কোন বিস্কুট হয়ে থাকে গোলাকার আবার কোন চৌকো। এছাড়াও আরও বিভিন্ন আকারের বিস্কুট পাওয়া যায় বাজারে। তবে সেই সকল নোনতা হোক অথবা মিষ্টি, চৌকো হোক অথবা গোলাকার সব ক্ষেত্রেই এক জায়গায় সামঞ্জস্য দেখা যায়।

বিস্কুট যে ধরনেরই হোক না কেন প্রত্যেক বিস্কুটের গায়ে থাকে অসংখ্য ছিদ্র। বিস্কুটের গায়ে থাকা এই সকল অসংখ্য ছিদ্রকে অনেকেই নকশা বলে মনে করেন। বিস্কুটের গায়ে থাকা এই সকল ছিদ্র নকশার কাজ করলেও কিন্তু এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। যে কারণে জন্যই এমন ছিদ্র রাখা হয় এবং পরবর্তীতে সেগুলি নকশার আকার ধারণ করেছে।

বিস্কুট তৈরির সময় বিস্কুটের গায়ে এইরকম অসংখ্য ছিদ্র করা হয়ে থাকে। এই সকল ছিদ্র করার পিছনে কেবলমাত্র একটি কারণ রয়েছে এমন নয়। এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। তবে প্রথম এবং বড় কারণ হলো, উৎপাদনের সুবিধার জন্যই এমন ছিদ্র করা হয়ে থাকে। বিস্কুটের গায়ে থাকা এই সকল ছিদ্রকে বলা হয় ডকার।

মূলত বিস্কুটের মধ্যে বাতাস চলাচল করতে পারে তার জন্যই এমন ছিদ্র করা হয়। ময়দা, চিনি, লবণ ইত্যাদি মিশিয়ে বিস্কুট তৈরি করার সময় সেগুলিকে ছাঁচে ফেলে এরকম ছিদ্র করা হয়ে থাকে। কারণ বেক করার সময় কিছু পরিমাণ বাতাস ঢুকে যায় বিস্কুটে। গরম করার সময় বিস্কুটে ঢুকে থাকা সেই বাতাস বিস্কুটের আকার নষ্ট করতে পারে। যে কারণেই এমন ডকার রাখা হয় যাতে বাতাস চলাচল করে বিস্কুটের আকার ঠিক রাখে।