Advertisements

ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর দেখাদেখি চাঁদে পাড়ি দিল জাপান, ভারতের টেকনোলজি ধার! কবে পৌঁছাবে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর সফলতা ভারতকে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করার। এর পাশাপাশি এই মিশনের মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, কত কম খরচে একটি মিশন সফল করা যায়। কেননা যেখানে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলি হাজার হাজার কোটি টাকা ফুটিয়ে দিয়েছে, সেই জায়গায় ভারত এই মিশন সম্পূর্ণ করেছে মাত্র ৬১৫ কোটি টাকায়।

Advertisements

ভারতের এমন সফলতায় এবার ভারতের দেখাদেখি একইভাবে চাঁদের মাটি দখলে নামলো জাপান (Japan)। ভারতের মতোই তারা কোনরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না, একেবারে ধীরস্থির ভাবে পৌঁছে যেতে চাইছে চাঁদের মাটিতে। কেননা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ২০ আগস্ট কি ঘটনা ঘটেছিল তার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। ঐদিন চাঁদকে লক্ষ্য করে গেলেও লক্ষ্য পূরণ করতে না পেরে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার লুনা ২৫ (Luna 25)।

Advertisements

জাপান চাঁদ জয়ের জন্য ইতিমধ্যেই জোড়া মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের তরফ থেকে ভারতের দেখানো পথকেই অনুসরণ করা হচ্ছে। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) র পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর মতই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। ভারত যে টেকনোলজি ব্যবহার করে বিশ্বকে কম খরচে চাঁদ জয়ের দিশা দেখিয়েছে সেই টেকনোলজি এবার ব্যবহার করছে জাপান।

Advertisements

বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) জাপানের স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (SLIM) এবং এক্সরে ইমেজিং অ্যান্ড স্পেকট্রোকপি (XRISM) এর মূলত পার্থক্য রয়েছে। বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের তুলনায় এই দুটি মহাকাশযানের ওজন অনেক বেশি। অন্যদিকে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রমের ভিতর রাখা হয়েছিল রোভার প্রজ্ঞানকে। কিন্তু জাপান SLIM এবং XRISM দুটিকে একসঙ্গে জুড়ে মহাকাশে পাঠিয়েছে।

জাপান এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর মত ঘনঘন বুস্টিং টোকিও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা করতে পারবেন না। আবার ভারতের মত টেকনোলজি ব্যবহার করে যেহেতু তারা চাঁদের মাটিতে পৌঁছাতে চাইছে তাই তাদের সময় অনেকটাই বেশি লেগে যাবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানা যাচ্ছে, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পৌঁছাতে যেখানে সময় নিয়েছিল প্রায় ৪০ দিন, সেই জায়গায় জাপান সময় নেবে প্রায় ৫ মাস অর্থাৎ ১৫০ দিন।

Advertisements