নিজস্ব প্রতিবেদন : কোন কারণ ছাড়াই গত শুক্রবার হঠাৎ হঠাৎ করে স্মার্টফোন কেঁপে উঠতে দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে এমন ঘটনা ঘটে। কেন এমনটা ঘটছে তা নিয়ে অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই এর কারণ সম্পর্কে জানেন না এবং ঘটনা কি কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এর কারণ নিয়ে আজ আমরা হাজির।
হঠাৎ হঠাৎ করে স্মার্টফোন কেঁপে ওঠার যে ঘটনা ঘটেছে তা মূলত এমার্জেন্সি অ্যালার্ট (Emergency Alert)। যে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট এসে পৌঁছাচ্ছে তাতে লেখা রয়েছে কেন্দ্র সরকারের একটি বার্তা। এমন এমার্জেন্সি অ্যালার্টের কারণ অধিকাংশ মানুষ না জানার কারণে তারা হতবাক হয়ে যান। তবে এর জন্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। আগামী দিনে যখন এই প্রক্রিয়া সফলভাবে কার্যকর হবে তখন দেশের মানুষরাই উপকৃত হবেন।
শুক্রবার যে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট বারবার পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন এলাকার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে পাঠানো হয় তা ছিল মূলত পরীক্ষামূলক। যে কারণেই এই অ্যালার্ট আসার পাশাপাশি ফোনের স্ক্রিনে একটি মেসেজ ভেসে ওঠে এবং তাতে লেখা ছিল, এটি একটি নমুনা পরীক্ষামূলক বার্তা এবং এই নমুনা পরীক্ষামূলক বার্তা পাঠানো হয়েছে ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে।
এই ধরনের যে অ্যালার্ট আসার ব্যবস্থা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে করা হচ্ছে তার জন্য গোটা দেশ জুড়েই এমন পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আপাতত সরকারিভাবে এই ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের অ্যালার্ট এলে তা উপেক্ষা করার কথা জানানো হয়েছে। কেননা এখন এই সিস্টেম নিয়ে কেবলমাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর এই সিস্টেম কার্যকর হলে তা দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচানোর এক এমার্জেন্সি অ্যালার্ট হয়ে দাঁড়াবে।
মূলত ভূমিকম্প থেকে শুরু করে অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা জরুরী পরিস্থিতিতে আরও নিরাপত্তা প্রদান এবং সময়ে সর্তকতা অবলম্বনে জন্যই এই সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। যার ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষের নিরাপত্তা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগেই স্মার্টফোনে অ্যালার্ট আসবে বলে জানা যাচ্ছে। সুতরাং বিষয়টি এই মুহূর্তে অনেকের কাছে বিরক্তিকর হলেও আগামী দিনে তা আপনারই প্রাণ বাঁচানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।