নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য। এই সকল দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি একের পর এক রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া সবার মধ্যে সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত জিনিস তৈরি করেছেন তিনি হলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। এই মানুষটি শিরোনামে আসার পর প্রথম দিন থেকে আজও রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছেন।
কালীঘাটের কাকুর এইভাবে ট্রেন্ডিংয়ে থাকার পিছনে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তার কণ্ঠস্বর। গত বছর ২২ আগস্ট যখন কালীঘাটের কাকু এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন তার কয়েকদিন পর থেকেই ইডি আধিকারিকরা তার কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য উঠেপড়ে রয়েছে। তবে একাধিকবার নমুনা সংগ্রহ করতে গেলেও তা সম্ভব হয়নি। বারবার বাধার মুখে পড়ার পর অবশেষে বুধবার রাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়।
এখন প্রশ্ন হল কালীঘাটের কাকুর গলায় কি এমন রয়েছে? কেন তার কণ্ঠস্বর ইডি আধিকারিকদের কাছে অত্যন্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে? কালীঘাটের কাকুর এই কন্ঠস্বর হাতে পেয়ে ইডি আধিকারিকরা কাকে বাগে আনতে চাইছেন? এই সকল উত্তর জানতে হলে আরও কয়েকদিন পিছনে ফিরে যেতে হবে। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে ওই কণ্ঠস্বর নিয়ে ইডি আধিকারিকদের দাবি যদি সত্যি হয়ে যায় তাহলে শাসকদলের অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন ? Sujay Krishna Bharda : কেন সুজয় কৃষ্ণ কালীঘাটের কাকু! কি দোষ করল বেহালা!
আসলে যেদিন প্রথম ইডি আধিকারিকরা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ঠিক সেই দিনই একইসঙ্গে হানা দেওয়া হয়েছিল রাহুল বেরা নামে এক যুবকের বাড়িতে। ওই যুবক পেশায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত এবং তার সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ঘনিষ্ঠতা ছিল। রাহুল বেরার বাড়িতে হানা দিয়ে ইতি আধিকারিকরা রাহুল বেরার একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। সেই ফোনের মধ্যেই একটি কথোপকথনের ফাইল ইডি আধিকারিকদের হাতে এসেছে।
ইডি আধিকারিকদের হাতে যে কথোপকথনের ফাইল এসেছে তাতে রাহুল বেরা যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি তাকে নির্দেশ দেন, নিয়োগ সংক্রান্ত যা নথি আছে সব যেন মুছে ফেলা হয়, নষ্ট করে দেওয়া হয়। ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাহুল বেরার অপরপ্রান্তে থাকা ঐ ব্যক্তি আর কেউ না, তিনি হলেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যে কারণেই ইডি আধিকারিকরা কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহের জন্য এতদিন ধরে এমন মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।