টিকিট বিক্রি শুরু হলো ঘরোয়া বিমানের, জারি হলো নয়া নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউন যখন চতুর্থ দফায় এসে পৌঁছায় তখন কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘরোয়া বিমান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতো প্রায় ৬০ দিন বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার পর ২৫ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পুনরায় ঘরোয়া বিমান পরিষেবা। আর বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করা নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে বিমান পরিষেবা চালু হবে।

আগামী ২৫ শে মে থেকে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু করার আগেই বৃহস্পতিবার থেকে বিমানের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেল। তবে বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের মাঝের আসন ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্তের আপত্তি জানায় বিমান সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য দীর্ঘদিন লকডাউন চলার কারণে এমনিতেই লোকসানে চলছে বিমান সংস্থাগুলি।এরপর মাঝের আসন বাদ দিলে কম যাত্রী নিয়ে বিমান উড়াতে হবে। যাতে আরও ক্ষতির সম্মুখীন হবে সংস্থাগুলি। পাশাপাশি মাঝের আসন বাদ দিয়ে বিমান পরিষেবা চালাতে লোকসান আটকানোর জন্য টিকিটের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। তাই শেষমেশ সিদ্ধান্ত হয় মাঝের আসনের টিকিটও বিক্রি হবে। সে যাই হোক বিমান পরিসেবার পুনরায় চালু হলেও যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে সরকারের নয়া নির্দেশিকা।

বিমান যাত্রীদের জন্য কেন্দ্র সরকার দ্বারা প্রদত্ত নয়া নির্দেশিকা

১) করোনাভাইরাসের আবহে যে সকল যাত্রীরা বিমানে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে চান তাদের বিমান ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ে থেকে কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে বিমান বন্দরে পৌঁছাতে হবে।

২) বিমান ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের চার ঘণ্টা আগে পর্যন্ত বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হবে না যাত্রীদের।

৩) বিমান যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়তে হবে বিমান বন্দরে প্রবেশ ও ভ্রমণকালীন।

৪) যাত্রীদের বিমানে চাপার আগে বাধ্যতামূলকভাবে স্ক্রিনিং করাতে হবে। কোন যাত্রীর ক্ষেত্রে কোন রকম উপসর্গ দেখা দিলে তাকে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না।

৫) প্রত্যেক যাত্রীর স্মার্টফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ছাড় পাবেন ১৪ বছরের কম বয়সীরা।

৬) করোনা ভাইরাসের কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলে তাকে বিমান যাত্রা করা তো দূরের কথা বিমানবন্দরে পর্যন্ত প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

৭) বিমানবন্দরের ট্রলি ব্যবহার করা যাবে না।একমাত্র খুবই প্রয়োজন থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ব্যবহার করলেও সঙ্গে সঙ্গে তা স্যানিটাইজ করতে হবে।

৮) বিমানের ভিতর কোন রকম খাবার পরিবেশন করা যাবে না।