লকডাউনের চতুর্থ দফাতেই চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা, ঘোষিত হলো দিনক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃতীয় দফার লকডাউন অবধি সব দোকান বন্ধ ছিল। এর ফলে আর্থিক ক্ষেত্রে সরকারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই চতুর্থ দফার লকডাউনে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। সরকার ৩১ মে পর্যন্ত জারি করেছে চতুর্থ দফার লকডাউন। এই দফায় অনেক দোকানই খোলা যাবে। ই-পাসের মাধ্যমে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে পারবেন অন্য রাজ্যের নাগরিকরাও। এই সকল নির্দেশিকাগুলি আগেই জারি হয়েছে। এবার কেন্দ্র নতুন নির্দেশিকা এলো বিমান পরিষেবা সম্পর্কিত।

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি হয়েছে গোটা দেশে। আর এই লকডাউনের ফলেই দুই মাসের কাছাকাছি সময় ধরে বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিলো। গত ২৪ শে মার্চ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার কেন্দ্রের নির্দেশ এলো ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু সম্পর্কিত। সামনের সপ্তাহের ২৫ মে থেকেই অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হবে।

আজ অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ট্যুইট করে জানান বিষয়টি। তার সাথে তিনি এও বলেন যে এরপর ধাপে ধাপে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। করোনা মোকাবিলায় বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য বিমানমন্ত্রক নতুন গাইডলাইনও তৈরি করবে।

মন্ত্রীর কথায়, দেশের সকল বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সকে এই সিদ্ধান্তের কথা বলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই যাত্রী চলাচলের প্রক্রিয়াকে ঠিক করা হবে এবং এর জন্য একটি নতুন নির্দেশিকাও জারি করা হবে।

বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর কথায়, বিমান পরিষেবা চালু হলেও যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে কতকগুলি নির্দেশিকা মেনে চলতেই হবে। যেমন বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা ইত্যাদি, ইত্যাদি।

মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্র একা নিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সকল রাজ্যের অনুমতির দরকার। যদিও সকল এয়ারলাইন্সই পরিষেবা চালুর জন্য তৈরি আছেন।

এদিকে বিমান মন্ত্রকের তরফ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে যে, বিমানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাঝখানের আসনের টিকিট বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত তারা প্রথমদিকে নিয়েছিলো। কিন্তু একাধিক বিমান সংস্থা জানায় যে জানলার পাশে ও ধারের আসনের মধ্যে দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। যদি পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হয় তাহলে একটি সারিতে দুইজন করে যাত্রী বসাতে হবে।

এরপর বিমান মন্ত্রকের করা নতুন নিয়মাবলির সাথেও (বিমানের শেষ তিনটি সারির আসন খালি রাখার) উড়ান সংস্থাগুলি সহমত পোষণ করে না। তাই নতুন ভাবে গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই গাইডলাইন প্রকাশ হবে তা জানান নি তিনি।