নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক পারদ ততই চড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করলেন, ‘ভোটের সময় বিজেপি টাকা দিতে আসবে। আর সেই টাকা যেন কেউ হাতছাড়া না করেন।’
রবিবার রামপুরহাটে তৃণমূলের জনসভা থেকে ভোটের সময় টাকা বিলির প্রসঙ্গ টেনে এইভাবে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি তার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি সভা থেকে তিনি তৃণমূল পুরুষ কর্মীদের নিদান দেন, ‘বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগার পার করে দেওয়ার’।
অনুব্রত মণ্ডল এদিন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, “আজকে বসে আছে নরেন্দ্র মোদি। তোমার লজ্জা লাগেনা? আজকে তুমি ভারতবর্ষের জিডিপি হার তলানিতে করে দিলে। আজ পর্যন্ত কোনদিন হয় নাই। তুমি যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামো মানো না, আইন মানো না। তুমি মানুষের কথা শোনো না। তুমি কৃষির কথা শোনো না। তুমি ছাত্রের কথা শোনো না। দিনমজুরের কথা শোনো না। তুমি নিজেকে মনে করো আমি খুব বড় অহংকারী। আর টাকার কুমির বেঁধে গেছো। কার টাকা। আমাদের আপনাদের টাকা।”
এর পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মা বোনেদের বলছি, এবার ইলেকশনে যদি টাকা দিতে যায় টাকাটা মা-বোনেরা নিয়ে নেবেন। টাকাটা হাতছাড়া করবেন না। ওদের বাপের টাকা নয়। আপনাদের টাকাটা দিতে আসবে। টাকাটা হাতছাড়া করবেন না।”
এরপরেই বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করার নিদান দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “গ্রাম্য ভাষায় বলে না, ‘ওরে ঠেঙিয়ে পগার পার কর’। পারবেন বিজেপিকে। পারবেন বিজেপিকে। শিওর। তাহলে বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করুন।”
যদিও অনুব্রত মণ্ডলের এই ঠেঙিয়ে পগার পার করার পাল্টা হিসেবে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “এবারের ভোট দিদির পুলিশ দিয়ে হবে না। হবে দাদার পুলিশ দিয়ে। আর তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের ঠেঙিয়ে পগার পার করতে এলে পিঠের চামড়া গুটিয়ে আমড়া করে ছেড়ে দেবো। অনুব্রত মণ্ডলও ছাড় পাবেন না।”