Double-Decker Bus: দারুণ খবর! এবার ডবল ডেকার বাস চালু করছে NBSTC, পুজোয় চলবে জয় রাইড

Double-decker bus ‘Joy Ride’ will run in North Bengal during Puja: পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে পুজোর সময় দোতলা বাসে ‘জয় রাইড’ (Double-Decker Bus) চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (NBSTC)। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কোচবিহারের দর্শনীয় স্থানগুলিতে পর্যটকদের ভ্রমণ করানো হবে। NBSTC-র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, পুজোর সময় কোচবিহারের দর্শনীয় স্থানগুলিতে প্রচুর পর্যটক আসেন। তাদের জন্য দোতলা বাসের মাধ্যমে ‘জয় রাইড’ চালানো হলে তারা কোচবিহারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন।

কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ আসলে ইতালিয় স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি। এর টানেই প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক আসেন কোচবিহারে। রাজপ্রাসাদে জাদুঘরে রয়েছে বহু দর্শনীয় জিনিস যেমন রাজ আমলের অস্ত্রাগার, সেই সময়ে ব্যবহারের বহু জিনিস। কোচবিহারের অতীতের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে যা সুন্দরভাবে তুলে ধরে। পর্যটকদের জন্য প্যাকেজ-ট্যুর করলে সংস্থার আর্থিক ক্ষতিও কম হবে এমনটাই বলছেন এনবিএসটিসি কর্তারা। কোচবিহার ডিপোতেই দু’টি দোতলা বাস (Double-Decker Bus) পড়ে আছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য বাসের তুলনায় এই বাসে কিলোমিটার প্রতি যাতায়াতের খরচ অনেক বেশি।

প্রতিটি বাসে (Double-Decker Bus) ৫০ জন যাত্রী বসতে পারবেন। ভ্রমণের সময় যাত্রীদের জন্য খাবার ও পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে। NBSTC-র এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কোচবিহারের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে। ‘জয় রাইড’-এর রুট হবে কোচবিহার বাস স্ট্যান্ড থেকে রাজবাড়ি, মন্দির, জাদুঘর, ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলি। ভ্রমণের সময়কাল হবে ৩০ মিনিট। ভাড়া হবে ১০০ টাকা। ‘জয় রাইড’-এর মাধ্যমে পর্যটকরা কোচবিহারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়াও, ভ্রমণের সময় তাদের জন্য খাবার ও পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে।

তবে এক লিটার ডিজেলে সাধারণ যাত্রীবাহি বাস যাবে প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার কিন্তু দোতলা বাস মেরেকেটে মাত্র তিন কিলোমিটার যেতে পড়বে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে সংস্থাকে৷ দোতলা বাসের যন্ত্রাংশও অমিল এবং নির্দিষ্ট সংস্থাকে দিয়েই বাস মেরামত করতে হয়। অন্য বাসের তুলনায় দোতলা বাসের (Double-Decker Bus) গতি অনেক কম তাই নিত্যযাত্রীরা সময়ের কারণে এই বাসে চাপেন না। উচ্চতার কারণে যে কোনও রুটে দোতলা বাস চালানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে।

দোতালা বাসকে সাধারণত ‘সবুজের পথে হাতছানি’ প্রকল্পে কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থা। প্রত্যেকবার পুজোর সময় নির্দিষ্ট কিছু বাসকে এই কাজে লাগানো হয়। প্রায় এক মাস জুড়ে ডুয়ার্সের কিছু পর্যটন কেন্দ্রে চালানো হয় নির্দিষ্ট কিছু বাস। এক দিনের প্যাকেজ-ট্যুরে কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ার থেকে বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের ঘুরিয়ে ফের ডিপোতে ফেরে বাসগুলি। এই বাসে চেপে যাত্রীরা অন্যরকম অনুভূতি পাবেন।