নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ১৬তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দোরগোড়ায়। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শাসক এবং বিরোধী দলগুলি তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। এনডিএ-র তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর এবং বিরোধী শিবিরের সমর্থনে তৃণমূল তাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে যশবন্ত সিনহার।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শাসক এবং বিরোধী এই দুই শিবিরের প্রার্থীদের নাম সামনে আসায় লড়াই কেমন হবে তা নিয়েই এখন কৌতূহল আমজনতার মধ্যে। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অন্য আর পাঁচটা নির্বাচনের মতো নয়। হিসেব নিকেশের বিষয়ে এই নির্বাচন আমজনতার কাছে বেশ জটিল। তাই এই দুই প্রার্থীর প্রচার যুদ্ধে নামার আগে দেখে নেওয়া যাক কে কোথায় দাঁড়িয়ে।
দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তাদের দল অর্থাৎ বিজেপির যে পরিমাণ ভোটের প্রয়োজন তা কিন্তু বর্তমানে তাদের কাছে নেই। এই মুহূর্তে এই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যে ভোটের প্রয়োজন তার থেকে ২ শতাংশ কম ভোট রয়েছে বিজেপির। এই ২ শতাংশ ভোটের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের ভরসা ওড়িশার বিজেডি, অন্ধ্রপ্রদেশের জনগমোহন রেড্ডি এবং তেলঙ্গানার TRS-এর মতো দলগুলি।
ওড়িশার ভূমিকন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে ওই রাজ্যের শাসক দল বিজেডির ভোট বিজেপির প্রার্থী দ্রোপদী মুর্মুর দিকেই আসবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বিজেপি। এর পাশাপাশি বিরোধীদের প্রার্থী বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করেনি জগমোহন রেড্ডি এবং টিআরএস। সেই জায়গায় এই সকল দলের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুর দিকে আসবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই সকল দলের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুর দিকে এলে তার জয়ের বিষয়ে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।
অন্যদিকে যশবন্ত সিনহা ভোটের দিক দিয়ে বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারেন। যশবন্ত সিনহা বাজপেয়ি আমলের একজন মন্ত্রী ছিলেন। পরে মোদি শাহর কাছে তিনি পাত্তা না পেয়ে দল ছাড়েন। এই জায়গায় এখনো অনেক বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক রয়েছেন যারা অনেকেই কোণঠাসা। যশবন্ত সিনহা যদি সেই সকল বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের ভোট এককাট্টা করতে পারেন তাহলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন দ্রৌপদী মুর্মু।