Ranaghat Oil-Gas Reserves: কেন্দ্রের উদ্যোগে খনন শুরু হবে রানাঘাটে, মাটির তলায় জ্বালানির ভান্ডার

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Ranaghat Oil-Gas Reserves: রাজ্যের নদীয়া জেলার রানাঘাটে রয়েছে খনিজ জ্বালানির ভান্ডার। অনেক আগেই তা আবিষ্কার করেছে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি)। কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে রানাঘাটে সেই খননকার্য শুরু করতে আগ্রহী। নেওয়া হচ্ছে পাইপ লাইন বসানো থেকে শুরু করে নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজের পদক্ষেপ। সংসদে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তার বক্তব্য অনুসারে অনুসন্ধানের কাজ যতটা এগিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলেছে কেন্দ্র। এখন শুধুমাত্র পরিবেশগত এবং অন্যান্য ছাড়পত্র সংগ্রহের অপেক্ষা।

Advertisements

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেই জানা গিয়েছিল রানাঘাটে খনিজ জ্বালানির অস্তিত্বের (Ranaghat Oil-Gas Reserves) কথা। তারপর থেকে কেটে গেছে টানা ৮ মাস কিন্তু খননকার্যের প্রক্রিয়া সেভাবে এগোয়নি। কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করেছে, লোকসভায় মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। আজকের প্রতিবেদনে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। রানাঘাটে যে পরিমাণ খনিজ জ্বালানি (Ranaghat Oil-Gas Reserves) পাওয়া গেছে তার পরিমাণ আদৌ কতটা? পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে তা কতটা সহায়তা করবে তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। খনিজ জ্বালানির অনুসন্ধান এবং সেই সংক্রান্ত উন্নয়নের কাজ বিগত আট মাসে এগোয়নি একফোঁটাও।

Advertisements

কিন্তু বর্তমানে কী পরিস্থিতি এখন শুধু সেটাই জানার অপেক্ষা। কত দিনে রানাঘাটের ভান্ডার থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা সম্ভব? কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিধি মেনে যদি উন্নয়ন করার জন্য উত্তোলন করতে হয় তাহলে কি করতে হবে? এছাড়া রানাঘাট থেকে খনিজ উত্তোলনের (Ranaghat Oil-Gas Reserves) জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ যেমন, পাইপলাইন তৈরি, প্রক্রিয়াকরণগত সুবিধা কতটা এগিয়েছে? উত্তোলনের কাজ শেষ হতে আরো কত সময় লাগবে?

Advertisements

আরও পড়ুন:SBSTC New BusesSBSTC New Buses: যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা এখন আরও মসৃণ, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার হাতে এলো আরও ১৬০ টি নতুন বাস

গত ১৫ এপ্রিল রানাঘাটে খনিজ জ্বালানির অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত জানে না ঠিক কতটা পরিমাণ হাইড্রোকার্বন রানাঘাটের মাটির তলায় রয়েছে (Ranaghat Oil-Gas Reserves)। এখনো পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। মূল্যায়নের জন্য হাতে সময় রয়েছে ২০২৭ সালের ৯ মে পর্যন্ত। জমির মূল্যায়ন করার পর খতিয়ে দেখা হবে হাইড্রোকার্বনের সম্ভাবনা ঠিক কতটা রয়েছে। পাইপলাইন বসানো থেকে শুরু করে খনিজ উত্তোলনের জন্য পরিকাঠামোগত যা যা প্রয়োজন, তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

আপাতত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, খনিজ তেল এবং গ্যাস সংক্রান্ত অনুসন্ধানের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র। মন্ত্রী জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সেগুলো জোগাড়ের কাজ। খনির উত্তোলন করলে পরিবেশের উপরের কতটা প্রভাব পড়বে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দাদের মতামত এবং ছাড়পত্র মিলে তবেই খননকার্য শুরু হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ছাড়াও একাধিক জায়গায়। রাজ্যের সঠিক অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত সেভাবে খননকার্য শুরু করা যায়নি। এ বার রানাঘাটে খনিজ জ্বালানির ভান্ডার আবিষ্কার এবং তার অগ্রগতির বিষয়েও তথ্য জানাল কেন্দ্র।

Advertisements