এই দিন থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ট্রায়াল

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসকল একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলো দুয়ারে রেশন প্রকল্প। যে প্রকল্পের মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের রেশন দোকানে যেতে হবে না, বরং তারা বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন তাদের রেশনের খাদ্য সামগ্রী। এই প্রকল্প শুরু করার আগে তা পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কয়েকটি এলাকায় চালানো হয়। তারপরেও যাতে এই প্রকল্পে কোনরকম খামতি না থাকে তার জন্য ট্রায়াল চালাতে চাইছে রাজ্য সরকার। তারপরেই পাকাপোক্তভাবে শুরু হবে এই প্রকল্প।

Advertisements

Advertisements

আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রকল্পের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিকাঠামো সহ একাধিক কারণে সেই ট্রায়ালের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিচ্ছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। রাজ্য খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধান করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই দুয়ারে রেশন পরিষেবার ট্রায়াল শুরু করা হবে। মূলত রেশন ডিলারদের সংগঠনের দাবি-দাওয়া মেনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দপ্তর।

Advertisements

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্য সরকার রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য এক লক্ষ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে রেশন ডিলারদের সংগঠন সেই প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে। তাদের দাবি ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকি নেওয়া হলে গাড়ি বাবদ যে খরচ হবে তার বাকি টাকা তাদেরই বহন করতে হবে। এই জায়গাতেই আপত্তি তাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সাথে একটি বৈঠক হয় রেশন ডিলার সংগঠনের। সেখানে রেশন ডিলাররা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারপরেই ট্রায়াল শুরু হওয়ার দিনক্ষণ ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা শুরু হবে আগামী ভাইফোঁটার শুভ দিন থেকেই। তবে এই ব্যবস্থা শুরু করার আগে রেশন ডিলাররা একাধিক দাবি-দাওয়া রেখেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তরের কাছে। তাদের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয় তার অনেকটাই এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যেমন গাড়ির ব্যবস্থা, ই-পস মেশিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা, মজুরি বাবদ অতিরিক্ত কমিশন ইত্যাদি।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে রেশন ডিলারের প্রতি ৭৫ টাকা কমিশন পেয়ে থাকেন। তা তারা কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা করার দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি প্যাকেজিংয়ের জন্য আরও ৪০ টাকা বাড়তি দাবি করেছেন তারা। এখন দেখার বিষয় এই সকল একাধিক দাবি-দাওয়া মিটিয়ে রাজ্য খাদ্য দপ্তর নির্দিষ্ট দিনে দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করতে সক্ষম হয় কিনা।

Advertisements