Dubrajpur: বীরভূম জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা শহর দুবরাজপুর। ১৬টা ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে এই দুবরাজপুর পৌরসভা। দুবরাজপুর শহরের ভিতর দিয়ে গেছে রানীগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে দুবরাজপুর শহরের ভিতর দিয়ে গেছে দুবরাজপুর-বক্রেশ্বর রাস্তাও। এই রানীগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। এই রাস্তা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম একটা মাধ্যম। (ছবি ও তথ্যঃ লাল্টু মুখার্জী)।
দূর দুরান্ত থেকে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে এই রাস্তার উপর দিয়ে। কিন্তু দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের যেটা সবথেকে বড় সমস্যা সেটা হলো রাস্তা সংকীর্ণ যার ফলে যানজট প্রায় লেগেই থাকে। আর এই যানজট ছাড়াতে নাকানি চোবানি খেতে হয় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে। ব্যস্ত সময় তো বটেই দিনের অন্যান্য সময়ও প্রায় জ্যাম লেগেই থাকে শহরের মধ্যে। যার ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে।
আরো পড়ুন: স্বপ্ন দেন মা কালী, নবান্ন খেয়ে তবেই যান বিসর্জনে! জানেন কোথায়
তবে এতদিন এই যানজট ঠেকানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশদের একমাত্র হাতিয়ার ছিল সাধারণ পদ্ধতি। যার ফলে অনিচ্ছাকৃত ভুলচুক লেগেই থাকতো। তাই ব্যস্ত সময়ে যেমন যানজট ছাড়াতে হিমশিম খেতে হতো কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের, তেমনি অপরদিকে সাধারণ জনগণের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হতো তাদের। তবে এবার সেই মুশকিল আসান হতে চলেছে। এবার তাদের হাতে এলো ম্যানপ্যাক বা ওয়ারলেস। দুবরাজপুর শহরের দশটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ১০ জন ট্রাফিক পুলিশের হাতে এই ম্যানপ্যাক বা ওয়ারলেস থাকবে।
আরো পড়ুন: নোয়াদার ঢাল স্টেশনের আজব কাহিনী অবাক করবেন নিশ্চয়ই
পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের মধ্যে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ দশটির বেশির ভাগ জায়গাও চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি ভাবে এই জায়গাগুলি হল সাতকেন্দুরী মোড়, কামারশাল মোড়, থানা মোড়, পোদ্দারবাঁধ মোড়, কোল্ডস্টোর, পাকুরতলা মোড়, আশ্রম মোড় এবং সেই সাথে আরও বেশ কয়েকটি স্থান। সূত্র মারফত ট্রাফিক পুলিশের কার্যপ্রণালীর খানিকটা আভাসও পাওয়া গিয়েছে।
তিনজন ট্রাফিক অফিসারের হাতে তিনটি ম্যান প্যাক বা ওয়ারলেস থাকবে। যার দ্বারা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের দশটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্পন্ন হবে। জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এগুলি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ম্যানপ্যাক বা ওয়ারলেস থাকার ফলে প্রত্যেকটা কর্নারে প্রত্যেক ট্রাফিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে সব সময়ের জন্য, যার ফলে ব্যস্ত সময়ে কিছুটা হলেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা।