লাল্টু : প্রথা মেনে একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন শ্মশান মা কালীর বিসর্জন হলো মঙ্গলবার দুপুরে। করোনা আবহে সরকারি এবং আদালতের বিধি মেনে সময়ের আগেই করা হলো বিসর্জন। প্রতিবছর শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে আশেপাশের গ্ৰাম থেকে প্রায় দশ থেকে পনেরো হাজার মানুষের ভিড় হয়, মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বসে মেলাও। কিন্তু এবছর করোনা আবোহে বিধিনিষেধ থাকায় আগাম সতর্কতা জারি করে দেয় দুবরাজপুর থানা।
কথিত আছে দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছে বহু বছর ধরে। ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মাকে বের করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এখন সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গেছে। তবে পরম্পরা অনুযায়ী দাসপাড়ার লোকেই বিসর্জন করে। মায়ের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে সারাবছর পুজো ও দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে বৈষ্ণবদের হাতে আর বিসর্জনে হয় দাস পরিবারের হাত দিয়ে, এটাই পরম্পরা ভাবে চলে আসছে।
ভিড় এড়াতে সময়ের অনেক আগেই মায়ের পূজো সেরে বিসর্জনের জন্য মাকে বের করে নিয়ে আসে দাসপাড়ার মানুষ। বিশালাকার মায়ের মূর্তি টানতে টানতে রুজের পুকুরে বিসর্জন করা হয়।
গুরুপদ দাস জানান, “করোনা আবহে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে শ্মশান কালী বিসর্জন হলো। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দাসপাড়ার প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয় এবার কিন্তু তা করা হয়নি। গ্রামগঞ্জ থেকে মানুষ আসার আগেই ভিড় এড়াতে সময়ের অনেক আগেই শ্মশানের মা কালীর বিসর্জন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই বিসর্জনকে ঘিরে ছিল পুলিশি প্রহরা।”