লাল্টু : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিঘাট থেকে রাজ্যের ২৯৪টির মধ্যে ২৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণার সময় বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে অসীমা ধীবরের নাম ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তৃণমূলের অন্দরে এই প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়।
সূত্র মারফত জানা যায়, দিন কয়েক আগেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশ প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শরণাপন্ন হন। আর এর পরেই দুবরাজপুর বিধানসভার ওই প্রার্থী অসীমা ধীবরকে আপাতত প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রচার বন্ধ রাখার যে নির্দেশ এসেছে তা স্বয়ং জানিয়েছেন প্রার্থী অসীমা ধীবর।
অসীমা ধীবর জানিয়েছেন, “আমাকে ডেকে দাদা (অনুব্রত মণ্ডল) আপাতত প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে কারণে আমি প্রচার শুরু করেও, দেওয়াল লিখন করেও আপাতত প্রচার বন্ধ রেখেছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “দাদার উপরেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। দল যা বলবে তাই করবো।”
তবে এমনটা জানালেও নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুবরাজপুর বিধানসভার প্রার্থী বদলের যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “প্রচার বন্ধ রাখার বিষয়টি দাদা যখন আমাকে বলেন তখন আমি অপমানিত এবং অসম্মানিত বোধ করি। মনে হচ্ছিল আমার নামটা ঘোষণা না করলেই ভালো হতো।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দুবরাজপুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেওয়ালে দেওয়ালে ‘খেলা হবে’ সহ একাধিক স্লোগান নিয়ে দেওয়াল লিখন হলেও অধিকাংশ দেওয়ালে প্রার্থীর নাম লক্ষ্য করা যায়নি। কেবল মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেওয়ালে প্রার্থী হিসেবে অসীমা ধীবরের নাম লেখা ছিল। আর এই সকল জল্পনার মাঝেই এইভাবে প্রার্থীকে প্রচারে ‘না’ প্রার্থী বদলের জল্পনাকে আরও ত্বরান্বিত করছে। আর যদি ভবিষ্যতে সত্যিই প্রার্থী বদল হয়ে থাকে তাহলে অসীমা ধীবর পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত নেন তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।