কলকাতা: বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুক্রবার থেকে আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে তা আগেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করেই দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় শুক্রবার বেলা গড়াতেই আকাশ আলাদা রূপ নেয়। এরপর রাত থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি (Low Pressure Rainfall Forecast)। নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টি আর পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আবহাওয়া দপ্তর শেষমেষ বিভিন্ন এলাকার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করল।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপ সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর আরও শক্তি বৃদ্ধি করেছে। নিম্নচাপটি আরও শক্তি বৃদ্ধি করার পর এখন তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শনিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে এবং তার ফলেই কোন কোন জায়গায় চরম ভারী বৃষ্টি, কোন কোন জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি আবার কোন কোন জায়গায় ভারী বৃষ্টির দেখা মিলবে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার চরম ভারী বৃষ্টির কারণে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য। ৭-২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া জেলার জন্য। শনিবারের পাশাপাশি রবিবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ওই দিন ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যে সকল জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেই জেলাগুলি হল ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম।
আরও পড়ুন : Vande Bharat Metro: দেশে চালু হতে চলেছে প্রথম বন্দে ভারত মেট্রো, ভাড়া পড়বে নামমাত্র
শনিবার গভীর নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় চরম ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের পাশাপাশি ঝড়ো হওয়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের পাশাপাশি কখনো কখনো ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। যে সকল জেলার জন্য এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, ওড়িশা সংলগ্ন সমুদ্রের পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিতে নিষেধ করা হয়েছে।