নিজস্ব প্রতিবেদন : লাগাতার ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপের কারণে এমনিতেই বানভাসি অবস্থা হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। তারপর আবার ভিন রাজ্য থেকে ছাড়া জলাধারের জলে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, বিঘার পর বিঘা জমি। শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদেরও জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেই। জমা জলে কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরের বাসিন্দাদের অবস্থা নাজেহাল।
অক্টোবর মাস হল এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। এই মাসে প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার নজির রয়েছে। আর সেই সকল ঘূর্ণিঝড় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের আছড়ে পড়ে আঘাত হানে। এমত অবস্থায় হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এবারের পুজোও মাটি হতে পারে বৃষ্টিতে। পূর্বাভাস অনুযায়ী পুজোর সময়ই নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে আগামী ৫ থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মৌসুমী বায়ু সরতে শুরু করবে। এরই মাঝে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের নতুন করে কোনো নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ১০ তারিখের পর থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর প্রভাবে মহানবমী এবং বিজয়া দশমী বৃষ্টিতে মাটি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
পুজোর সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসাবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহাষষ্ঠী থেকে মহাষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। এই সময়ে তেমন কোন বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে স্থান বিশেষে কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি দেখা যেতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে মহাষ্টমীর রাত থেকে। ওই সময় থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশ মেঘে ঢাকা পড়তে পারে, শুরু হতে পারে বৃষ্টি।
তবে কোনো কারণবশত এই নিম্নচাপের ক্ষেত্রে বিলম্ব দেখা গেলে বিজয়াদশমী থেকে লক্ষ্মী পুজোর মধ্যে কোন একটি সময় বৃষ্টি হতে পারে। পুজোর সময় এই নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ৬০% সম্ভাবনা রয়েছে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার।