নিজস্ব প্রতিবেদন : ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজায় রয়েছে মাত্র আর একটি মাস। তবে গত বছরের মতো এ বছরও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই হবে দুর্গোৎসব। যে কারণে দুর্গা পুজোর আগে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক সেরে নেওয়া হলো। যেখানে উঠে আসে কিভাবে, কি কি বিধি মেনে এবার পুজো করা হবে।
মঙ্গলবার এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পুজো উদ্যোক্তা এবং ক্লাবগুলিকে জানিয়ে দিলেন কেমন করতে হবে পুজো মণ্ডপ, কি কি বিধি মেনে চলতে হবে, পুজোয় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা কি হবে ইত্যাদি। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাবগুলির জন্য ঘোষণা করা হলো আর্থিক সাহায্য ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
এই বৈঠকে এ দিন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, “রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমিটিগুলিকে কোভিড বিধি মেনে পুজো করতে হবে।” এরপরই তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে। পাশাপাশি আরও বাড়তি সুবিধা হিসেবে পুজোর ক্ষেত্রে যে বিদ্যুতের বিল আসবে তার ৫০% মুকুব করবে সরকার। এখানেই শেষ নয়, এরপরও কমিটিগুলিকে পুজোর জন্য কোনরকম লাইসেন্স ফি দিতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
রাজ্যের তৃণমূল সরকার শাসনে আসার পর থেকেই দুর্গাপূজার সময় আর্থিক অনুদান দেওয়ার রীতি শুরু হয়। প্রথমদিকে এই আর্থিক অনুদানের অঙ্কটা অনেক কম ছিল। পরে ধীরে ধীরে অঙ্কটা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৫০,০০০ টাকায় এসে পৌঁছেছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে আরও একাধিক সুবিধা যেমন বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রে ছাড় এবং লাইসেন্স ফি মুকুব ইত্যাদি।
ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা করা হয় গত বছর। করোনাকালে ওই বছর যাতে পুজো কমিটিগুলির পুজো করার ক্ষেত্রে কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখিন না হতে হয় তার জন্য ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বজায় রাখলেন তিনি।