দুর্গাপুর থেকে বন্দে ভারতে হাওড়া যাবেন ভাবছেন, ভাড়া কত জানেন তো!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা (Indian Railways) এমন একটি পরিষেবা যার উপর ভর করে প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। সে কারণে রেল পরিষেবা দেশের মানুষের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের তরফ থেকেও রেল পরিষেবায় নানান পরিবর্তন আনার জন্য নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি একের পর এক রূপে চালু করা হচ্ছে বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন।

Advertisements

বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন আগে দেশে ২৫ টি যাতায়াত করলেও এখন তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৪। রবিবার একসঙ্গে নটি বন্দে ভারতের সূচনা হওয়ার কারণেই এক ধাক্কায় এই সংখ্যাটা এতটা বেড়ে যায়। এই ৩৪টি বন্দে ভারতের মধ্যে পাটনা হাওড়া বা হাওড়া পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবার থেকে স্টপেজ দেবে দুর্গাপুর রেলওয়ে স্টেশনে (Durgapur Railway Station)। সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই স্টেশনটিতে আগে স্টপেজ দেওয়ার কথা না থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে রেল।

Advertisements

হাওড়া পাটনা বা পাটনা হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দুর্গাপুর স্টেশনের স্টপেজ যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই এলাকার বাসিন্দারা এবার সহজেই বন্দে ভারতের চড়ে হাওড়া অথবা পাটনা বা অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনটি পাটনা থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে দুপুর ১২ টা ৩৯ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশনে দাঁড়াবে এবং দু’মিনিট দাঁড়ানোর পর ফের হাওড়ার দিকে রওনা দেবে। অন্যদিকে হাওড়া থেকে পাটনা যাওয়ার পথে বিকাল ৫:২৮ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশনের স্টপেজ দেবে এবং ৫:৩০ মিনিটে আসানসোলের দিকে রওনা দেবে।

Advertisements

এখন যদি কোন যাত্রী দুর্গাপুর থেকে হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চড়ে যাতায়াত করতে চান তাহলে তাকে সিসি চেয়ার কারের জন্য খরচ করতে হবে ৭৫৫ টাকা। অন্যদিকে এক্সিকিউটিভ ক্লাসের জন্য খরচ করতে হবে ১২৮০ টাকা। এই ভাড়া সাধারণ ট্রেনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। তবে কয়েকগুণ বেশি হলেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে যে সকল সুবিধা দেওয়া হয় তা সাধারণত অন্য ট্রেনে পাওয়া যায় না।

দুর্গাপুর শহর বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। পশ্চিমবঙ্গের যে সকল বড় বড় শহর রয়েছে সেই সকল বড় বড় শহরগুলির মধ্যে দুর্গাপুরকে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে। এছাড়াও দুর্গাপুরকে শিল্প নগরী হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। কেননা এখানে বিভিন্ন বড় বড় সংস্থার বড় বড় কারখানা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্দে ভারতের স্টপেজ দুর্গাপুরে দেওয়ার ফলে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Advertisements